মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর পান্থপথের একটি রেস্টুরেন্টে পাঠাও’র সিইও হোসেন এম ইলিয়াস সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকায় মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং জনপ্রিয় হচ্ছে। অনেকগুলো রাইড শেয়ারিং প্লাটফর্ম এ সেবা দিচ্ছে। এক্ষেত্রে বেশি পরিচিতি পেয়েছে পাঠাও। তবে রাইড শেয়ারিং সেবার মান নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ও অভিযোগ আছে। এ নিয়ে নীতিমালা চূড়ান্ত হচ্ছে।
পাঠাও’র সিইও ইলিয়াস জানান, গত বছরের ১৬ ডিসেম্বরে অ্যাপসের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেন তারা। তার আগে ফেসবুকে গ্রুপ খুলে নিজেদের মধ্যে এর চাহিদা যাচাই করে দেখেন। তখন অ্যাপস্ ছিলো না।
পাঠাও নামে তাদের ডেলিভারি সার্ভিস চালু ছিল। যা থেকে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর তারা যাত্রী আনা-নেওয়া করতে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস্ চালু করে দেন। এখন পর্যন্ত স্মার্টফোনে তাদের এ অ্যাপস্ চার লাখ বার ডাউনলোড হয়েছে।
রাইড শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে নীতিমালার খসড়া সরকার প্রস্তুত করেছে, সেখানে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়নি।
বাংলানিউজের প্রশ্ন ছিলো- ‘সরকার যদি ভাড়া ঠিক করে দেয়, তাহলে সেটা মানবেন কি-না?’।
জবাবে ইলিয়াস বলেন, ‘সরকার যেটা বলবে, সেটাতো করতেই হবে। সরকার যদি কিছু না বলে, তাহলে এটি নিয়ে কথা বলেতো লাভ নেই’।
কেন পাঠাও-এ হেলমেট পাওয়া যাচ্ছে না?- এমন প্রশ্নে তিনি জানান, এখন হেলমেট তারা নিজেরাই দেওয়া শুরু করেছেন। এ মাসেই ৫ হাজার হেলমেট দেবেন।
পাঠাও-এর আরও পরিকল্পনা জানিয়ে ইলিয়াস বলেন, চট্রগ্রামে পাঠাও একই সঙ্গে মোটরসাইকেল ও কারের যাত্রা শুরু করেছে। বুধবার (০১ নভেম্বর) থেকে ঢাকায় পাঠাও কার পাওয়া যাবে। ‘পাঠাও কারস’- এর বেইস ফেয়ার হবে ৫০ টাকা, প্রতি কিলোমিটার ২০ টাকা, প্রতি মিনিট চার্জ ২ টাকা ৫০ পয়সা।
পাঠাও অ্যাপসে রিকোয়েস্ট করার পর কেন গ্রাহক বা ব্যবহারকারী মোটরসাইকেলের নম্বর ও কতো সিসি’র বাইক তা দেখতে পারেন না- এমন প্রশ্নে ইলিয়াস বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে নম্বর আসে না। এর কারণ, ওইসব বাইকের মালিকরা তাদের কাগজপত্র ডকুমেন্ট পুরোপুরি দেননি’।
আর সিসি কেন দেখা যায় না?- এর উত্তর ইলিয়াস এভাবে দেন, ‘যার নম্বর দেখা প্রয়োজন, তাকে ওই ধরনের সার্ভিস ব্যবহার করতে হবে, যেখানে বাইকের সিসি দেখা যায়। চাইলেই এটা করা যাবে। কিন্তু বিজনেসের জন্য কতোটুকু লাভজনক হবে, সেটা হচ্ছে বিষয়’।
পাঠাও’র সিইও আরও বলেন, ‘প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে নম্বর প্রদর্শিত হয়। বাকি ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটে’।
পাঠাও অ্যাপস্ ব্যবহারের কারণে ঢাকায় কোথাও পুলিশ মামলা বা অভিযোগ দেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কেইস স্লিপগুলো দেখেছি। কিন্তু কোথাও পাঠাও ব্যবহারের জন্য মামলা হয়েছে, এমনটি দেখিনি’।
ইলিয়াস মনে করেন, রাইড শেয়ারিং অ্যাপস্ ঢাকার মানুষ খুব ভালো ভাবে গ্রহণ করছেন। কারণ, এখানে অনেক বেশি যানজট।
সেবার মান বাড়াতে তারা প্রতিনিয়ত অ্যাপসের ডেভেলপ এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এসএ/এএসআর