অ্যাপল এখন স্টিভশূন্য। তবে থেমে নেই স্টিভের স্বপ্নসাফল্য।
যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন বিক্রেতা এটিঅ্যান্ডটি সূত্র মতে, অনলাইনে প্রিঅর্ডার চালু হওয়ার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ২ লাখ আইফোন ৪এস বিক্রি হয়ে গেছে। ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এসব আইফোনের বাণিজ্যিক বিপণন।
এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বিশ্বের মাত্র ৬টি দেশে আইফোন ৪এস বিক্রির ছাড়পত্র পেয়েছে। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া অনলাইন প্রিঅর্ডার সামাল দিতে হিমশিম খেয়েছে এটিঅ্যান্ডটি।
আইফোন ৪এস বিক্রির অনুমোদন পাওয়া অপর দু`প্রতিষ্ঠান হচ্ছে স্প্রিন্ট এবং ভেরিজন। এ দুই অনলাইন বিক্রেতাও শুক্রবার থেকে প্রিঅর্ডার নিতে শুরু করেছে। তবে সেবামানের গুণে চাপটা এটিঅ্যান্ডটির ওপরই বেশি পড়েছে।
ডিজিটাল পণ্য বিশ্লেষকদের ভাষ্যমতে, আইফোন ৪এস মডেলে তেমন কোনো নতুনত্ব আসেনি। তবে অবয়বে খানিকটা পরিবর্তন এসেছে। বেড়েছে স্টোরেজ সামর্থ্য। বলতে গেলে অনেকটা আইফোন৪ এর মতোই এসেছে নতুন এ সংস্করণ।
তবে আইফোন ৪এস মডেলের সবচে আকর্ষণীয় ফিচার হচ্ছে ভয়েস কমান্ড সিস্টেম। ‘সিরি’ নামের এ ভয়েস ফিচারের মাধ্যমে কণ্ঠবার্তা শুনেই কাজ করবে আইফোন ৪এস। এ ফিচারটি নবীন-প্রবীণ সবার জন্যই গুরুত্ব বহন করে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, স্টিভের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেও অনেকে এ পণ্যটি কিনছেন। আইফোন ‘৪এস’ মডেলই হচ্ছে স্টিভের জীবিত থাকা অবস্থায় মুক্তি পাওয়া সবশেষ অ্যাপল পণ্য। ৫৬ বছর বয়সে জটিল ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে স্টিভ গত ৫ অক্টোবর মারা যান।
এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ন্যূনতম ১৯৯ ডলারে ১৬জিবি এবং সর্বোচ্চ ৩৯৯ ডলারে ৬৪জিবি মডেলের আইফোন ৪এস পাওয়া যাচ্ছে। একে স্টিভের শেষ সময়ের পণ্য বলেও সম্মান জানাচ্ছেন ভক্তরা।
বাংলাদেশ সময় ০৫৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১১