রোববার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী দূত সম্মেলনের প্রথম দিনের শেষ সেশনে এ তাগিদ দেওয়া হয়।
বিকেল ৪টা থেকে সোয়া ৬টা পর্যন্ত চলা এই সেশনে বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কূটনীতিকদের উদ্দেশে কথা বলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পলক তার বক্তৃতায় সরকার ও দূতাবাসগুলোর সঙ্গে অনলাইন যোগাযোগ জোরদারের তাগিদ দেন। এক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতে ২০২০ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
সেজন্য করণীয় বিষয়ে এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতে বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে কূটনীতিকদের কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ তর বক্তব্যে বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে দেশের জ্বালানি খাতে ৫৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ দরকার।
এই বিপুল অংকের বিনিয়োগ আনতে করণীয় সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতদের তাগিদ দেন তিনি। একইসঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে করণীয় বিষয়েও কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণে আন্তঃদেশীয় ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
এর আগে, সকালে তিন দিনব্যাপী এ দূত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় কূটনীতিকদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আপনারা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। সেখানে বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষা করে, দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। কিভাবে দেশে আরও বিনিয়োগ বাড়ানো যায় তাও দেখতে হবে।
পাশাপাশি প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা দেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ সম্মেলনে বর্তমান পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্রনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে প্যানেল আলোচনাও হচ্ছে এই কনফারেন্সে।
সম্মেলনের বিভিন্ন সেশনে সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষার দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে শেষ অধিবেশনে কূটনীতিকদের উদ্দেশে বক্তৃতা রাখলেন নসরুল হামিদ ও পলক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
কেজেড/এইচএ
** মানুষের কল্যাণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি