সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিশেষ কমিশন সভায় দুই গাইডলাইন প্রকাশ ও আবেদন আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসি সচিব সরওয়ার আলম বাংলানিউজকে জানান, বিটিআরসির ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
সিডিউল অনুযায়ী, সোমবার আবেদন আহ্বানের পর ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রশ্ন নেওয়া হবে। ২১ ডিসেম্বর প্রি-বিড মিটিং অনুষ্ঠিত হবে।
১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন গ্রহণের পর ২৫ জানুয়ারি যোগ্য আবেদনকারীর তালিকা প্রকাশ করবে বিটিআরসি।
২৯ জানুয়ারি নিলামের আলোচনা, ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিড আর্নেস্ট মানি প্রদান, ৭ ফেব্রুয়ারি নিলামের চিঠি প্রদান, ১২ ফেব্রুয়ারি মক নিলাম, ১৩ ফেব্রুয়ারি নিলাম এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
গত ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দুই গাইডলাইনের অনুমোদন দেন।
ওই দিন সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, মোবাইল ফোন অপারেটরদের আপত্তিগুলো নিষ্পত্তি করে ফোরজি লাইসেন্সিং গাইডলাইন এবং তরঙ্গ নিলাম গাইডলাইন প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে অপারেটররা যে ২৩টি বিষয় বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেছিল তার মধ্যে ২২টি সম্পূর্ণভাবে এবং ২৩ নম্বরটি আংশিকভাবে বিবেচনা করেছি।
‘ফোরজি লাইসেন্স আবেদন ফি আগে ছিল ৫ লাখ টাকা, এখনও তাই আছে। লাইসেন্স এক্যুইজেশন ফি পূর্বে ছিল ১৫ কোটি, সেটি এখন ১০ কোটি টাকা। বার্ষিক লাইসেন্স ফি সাড়ে সাত কোটি থেকে কমিয়ে ৫ কোটি টাকা, রেভিনিউ শেয়ারিং ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ব্যাংক গ্যারান্টি ১৫০ কোটি টাকাই রয়েছে। ’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কনভার্সন ফি ১৮০০ ও ৯০০ মেগাহার্টজের তরঙ্গ এক ধাপে রূপান্তর করলে ৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আংশিক রূপান্তর করলে ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার দাম ধরা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ফোরজির ডাটা স্পিড ২০ এমবি (মেগাবিটস পার সেকেন্ড) রাখা হয়েছে। বিটিআরসি সময়ে সময়ে স্পিড পরিবর্তন করতে পারবে সেজন্য এই বিধান রাখা। এটি আগে ছিল ১০০ এমবি।
অপারেটরদের কল রেকর্ডস সংরক্ষণের সময়সীমা কমিয়ে আনার অনুরোধ ছিল, সেটি তিন বছরের পরিবর্তে তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী দুই বছর করা হয়েছে।
ভ্যাট ও ট্যাক্সের বিষয়ে অপারেটরদের অনুরোধে বিটিআরসিতে প্রদানের বাধ্যবাধকতা না রেখে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিশোধ করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সিএফ ক্যালকুলেশন করার বিধান অ্যাকটিভ সাবস্ক্রাইবারের ভিত্তিতে করার জন্য তাদের প্রস্তাব ছিল, সেটি গ্রহণ করা হয়েছে। আগে ছিল তিন মাস পর পর সাবস্ক্রাইবার কতজন থাকবেন সেটির ভিত্তিতে বিবেচনা করা ছিল, উপদেষ্টার পরামর্শক্রমে তাদের অনুরোধটি গ্রহণ করা হয়েছে।
বিটিআরসিকে অবহিত ও অনুমোদন নিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কোন কোন সেবা অপারেটররা নেবে- এ বিষয়টি রহিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএম