সফটওয়্যারটি তৈরি করেছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আল-আমিন। সবেমাত্র তিনি পড়ালেখা শেষ করেছেন।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের তৃতীয় দিন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির স্টলে গিয়ে কথা হয় মেধাবী এই শিক্ষার্থীর সঙ্গে।
বাংলানিউজকে আল-আমিন বলেন, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষাসহ যেকোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা যাবে এই সফটওয়্যার দিয়ে। কোয়েশ্চেন সেটারে দেওয়া আছে সব ধরনের প্রশ্ন। ৩২ ধরনের প্রশ্ন করা যাবে কোয়েশ্চেন সেটার দিয়ে। এজন্য ক্লাস, বিষয়, পরীক্ষার ধরন এবং সেমিস্টার দিলেই অটোমেটিক প্রশ্নপত্র চলে আসবে। শুধু তাই নয়, প্রতিবারই আসবে নতুন নতুন প্রশ্ন। তাই প্রশ্নফাঁস হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
সফটওয়্যারটি তৈরি করতে আল-আমিনের সময় লেগেছে ১৪ মাস মাস। এটি তৈরি করতে তাকে সহযোগিতা করেছেন তার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. সাইফুর রহমান। নিজের তৈরি কোয়েশ্চেন সেটারের মাধ্যমে শতভাগ প্রশ্নফাঁস রোধ করা যাবে বলে আশাবাদী আল-আমিন।
‘কোয়েশ্চেন সেটার' সফটওয়্যারটি ব্যবহার করলে কোনোভাবেই প্রশ্নফাঁস হবে না। কিংবা কারও হাতে কেউ জিম্মি থাকবে না। এজন্য সফটওয়্যারটি নজরে আনতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আল-আমিন।
তিনি বলেন, সফটওয়্যারটিতে সিলেবাস ও মানবণ্টন দেওয়া আছে। এমনকি সিলেবাসে যতগুলো প্রশ্ন থাকবে তার সবগুলো প্রশ্ন ডাটাবেজে এন্ট্রি থাকবে। শুধুমাত্র পরীক্ষার আগে মাত্র ২০ সেকেন্ডের মধ্যে প্রশ্নপত্র তৈরি হয়ে যাবে। সুতরাং সফটওয়্যারটি ব্যবহারে একদিকে যেমন প্রশ্নফাঁস রোধ হবে অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও পূর্ণাঙ্গ বই পড়ে পরীক্ষায় বসবে। ফলে মেধার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৭
এসজে/এমজেএফ