বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) চার দিনব্যাপী ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের সমাপনী অনুষ্ঠানে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী।
উপস্থিত অতিথি বেসিস সভাপতি মোস্তফা জব্বার ইন্টারনেটের দাম কমানোর ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বক্তব্যে মুহিত বলেন, ইন্টারনেটের উপরে ভ্যাট। মোস্তফা জব্বারও বলেছেন। আমি এ সম্বন্ধে বহুদিন মন্তব্য করিনি। এবারে মন্তব্য করতে চাই। কারণ আগামী বছর আমি আমার শেষ বাজেট দেবো। সুতরাং দেখা যাক কী করা যায়!
ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরুর প্রসঙ্গ টেনে মুহিত বলেন, প্রথমে কালেক্টরের মাধ্যমে সংগ্রহ করে সিঙ্গাপুর পাঠাতাম। তারপর এটা বিভিন্ন জায়গায় যেত। এভাবে আমরা ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু করি। এখন ইন্টারনেটে আমরা উল্লেখযোগ্য অবস্থানে আছি। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের তরুণ সমাজের জন্য, দূরদর্শী নেত্রী শেখ হাসিনার জন্য।
মুহিত বলেন, ২০০৮ সালে চার বছর পরিশ্রম করে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করি। পাশে ছিলেন মোস্তফা জব্বার। আর একজন লোক অত্যন্ত ঘনিষ্ট সহকারী নূহ-উল আলম লেনিন। সেই নির্বাচনী ইশতেহার বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেই। তিনি তখন বিরোধীদলে। নেত্রী ১২ ডিসেম্বর ইশতেহার জনসম্মুখে ঘোষণা করেন।
মুহিত বলেন, এটা খুবই সুখের বিষয় যে ১২ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস পালিত হবে। এই ইশতেহার কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে তার বাস্তবায়ন করবে তরুণ সমাজ। প্রধানমন্ত্রীও বলেন, আমি ডিজিটাল বাংলাদেশের উপহার আপনাদের হাতে দিলাম। এটার বাস্তবায়নের দায়িত্ব তরুণ সমাজের। তরুণরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পৌঁছে দিতে পারবে, সেটার সত্যিকারভাবে রূপান্তরিত হয়েছে। এখন আমরা ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে পৌঁছে গেছি তাদেরই কৃপায়। তাদের প্রতি বিশেষভাবে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দশ লাখ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেবো। অল্প দিনের মধ্যে হার্ডওয়্যার শিল্পে রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবো। ২০২১ সালের মধ্যে এক হাজার ইনোভেশন প্রোডাক্ট রপ্তানি করতে পারবো বলে আশা করি।
**ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড শেষে আগামীবার ‘দেশীয় সোফিয়া’র আশা
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭
এমআইএইচ/এএ