দেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা যশোরে ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ টেকনোলজি পার্কে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখছেন এ অঞ্চলের অন্তত ১২ হাজার মানুষ।
সোমবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পার্কটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ক্যাম্পাস উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরে বিশ্বমানের আইটি পার্ক স্থাপনের ঘোষণা দেন। সে ঘোষণা অনুসারে ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল যশোরের বেজপাড়া শংকরপুর এলাকায় ২ লাখ ৩২ হাজার বর্গফুট জমিতে ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পার্কটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। যা পুরো খুলনা বিভাগে বর্তমান সরকারের বাস্তবায়িত মেগা প্রকল্পের একটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আন্তর্জাতিক মানের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ভূমিকম্প প্রতিরোধক কম্পোজিট (স্টিল ও কংক্রিট) কাঠামোতে ১৫ তলা এমটিবি (মাল্টি ট্যানেন্ট বিল্ডিং) ও পাঁচ তারকা মানের ১২ তলা ডরমেটরি (আবাসিক) ভবন রয়েছে। অত্যাধুনিক কনভেনশন সেন্টারের সঙ্গে আন্ডারগ্রাউন্ডে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
১৫তলা মূল ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে ১৪ হাজার বর্গফুট করে জায়গা রয়েছে। বিদেশি উদ্যোক্তাদের চাহিদা বিবেচনা করে আবাসন ভবনটির ১১তলার পুরো ফ্লোরটিতে আন্তর্জাতিক মানের জিমনেশিয়াম গড়ে তোলা হয়েছে। উভয় ভবনে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে ৩৩ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন ও দুই হাজার কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর, ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির ব্যবস্থা রয়েছে। ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারের ব্যাকআপ রাখতে স্থাপিত হয়েছে ডিজাস্টার রিকভারি ডাটা সেন্টারও।
পার্ক সংশ্লিষ্টরা জানান, খুলনা বিভাগের ১০ জেলার তরুণ উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যান্য দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। পার্কটিতে মূলত সফটওয়্যার উন্নয়ন, ফ্রিল্যান্সিং/আউটসোর্সিং, কল সেন্টার, তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ও উন্নয়নসহ (আরঅ্যান্ডডি) বিভিন্ন ধরনের কাজ হবে।
এতে প্রথম দিকেই এ অঞ্চলের ১২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের স্বপ্ন পূরণ হবে।
যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, এ পার্কে অগ্নি সিস্টেমস্, সাজ টেলিকম, স্পেকট্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স কনসোর্টিয়াম লিমিটেড, দোহাটেক নিউ মিডিয়া, অগমেডিক্স বাংলাদেশ লিমিটেড, অন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, কাজী আইটি সেন্টার, ইনফোটেক, ই-জেনারেশন লিমিটেড, বাক্য, ডিজিকন টেকনোলজিস, এম্বার আইটি লিমিটেডের মতো দেশি-বিদেশি ৪০টি আইটি কোম্পানিকে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জায়গা বরাদ্দের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে আরও ১৫টি কোম্পানিকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া কয়েকটি কোম্পানি ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
ইউজি/এএসআর
** প্রতিটি জেলায় হাইটেক পার্ক হবে
** চালু হলো ‘শেখ হাসিনা টেকনোলজি পার্ক’