১ জানুয়ারি থেকেই এ যাত্রা শুরু বলে- জানিয়েছেন ‘গতি-লেটসগো’ অ্যাপের সিইও এন জামান চৌধুরী জেমস।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরায় বাংলনিউজের সঙ্গে আলাপকালে অ্যাপ কর্তৃপক্ষ এসব জানায়।
অ্যাপ বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) এএইচ এম মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে জানান, সিএনজি অটোরিকশার মালিককে মূলত মোবাইল ফোনটি দেওয়া হবে। কারণ একজন মালিকের একাধিক সিএনজি রয়েছে। আবার একটি সিএনজি ২ থেকে ৩ জন চালক চালান। যখন যে চালাবে তার আইডি লগইন করে চালাতে পারবে। আর সিএনজি মালিক অ্যাপটির ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজস্ব আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে ঢুকে দেখতে পারবে কতটি ট্রিপ কোথায় কোথায় হয়েছে।
২১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষ করে ১ জানুয়ারি ৩ হাজারের বেশি সিএনজি অটোরিকশা অ্যাপে ছাড়ার ইচ্ছা তাদের।
এমডি আরো জানান, সিএনজি চালকদের অ্যাপে নিয়ে আসতে যেসব প্রতিবন্ধকতা তা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। শুরুতে সিএনজি চালক আর মালিকদের বহু সমিতি দেখে পরে পৃথকভাবে মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই অ্যাপ সেবার কথা তুলে ধরেছিলেন। এতেই মালিকপক্ষ রাজি হয়। এ নিয়ে তারা ৩টি কাজ করেছেন।
তবে রাইড শেয়ারিং যে নীতিমালা করছে সরকার সেখানে সবশেষ খসড়ায় ‘সিএনজি অটোরিকশাকে অ্যাপ সেবার বাইরে রাখার বিধান যুক্ত করা হয়। যদিও সরকার নির্ধারিত মিটার কার্যত অচল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিইও এন জামান চৌধুরী জেমস বলেন, ‘এটা ঠিক রাইড শেয়ারিং অ্যাপ নয়, তবে অ্যপ ভিত্তিক সেবা। আবার যাদের অ্যাপ নেই তারাও রাস্তায় যে সিএনজি পাবেন তাতে উঠে চালকের অ্যাপে ট্রিপ স্টার্ট দিয়ে গন্তব্যে যেতে পারবেন।
প্রকৌশলী জেমস বলেন, ‘অন দ্যা গো- যাদের কাছে অ্যাপস নেই তারাও অ্যাপভিত্তিক সেবাটি ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যাত্রীর মোবাইলে প্রয়োজন নেই। চালক তার মোবাইলে একটি যাত্রা স্টার্ট দিলেই মিটারের মতো কাজ করবে।
সিইও এন জামান চৌধুরী জেমস বলেন, সিএনজি অটোরিকশায় যে মোবাইল ফোন দেওয়া হবে সেগুলোকে শুধু গতি অ্যাপসের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়ার চিন্তা করছেন তারা। যাতে সেখানে অন্য কোনো অ্যাপ না চলে। সেক্ষেত্রে প্রযক্তিগত বিষয়গুলো এখন বিবেচনা করা হচ্ছে।
গন্তব্যে যাওয়ার পর যাত্রী চালককে ‘ই-ওয়ালেট এবং ক্যাশে’-এই দুইভাবে ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন। সিএনজি অটোরিকশার বর্তমান মিটারে যে ভাড়া প্রায় একইসমান ভাড়া থাকবে। অ্যাপ প্রতিষ্ঠানটি ট্রিপ প্রতি সেখান থেকে ২০ ভাগ কেটে নেবে।
একজন যাত্রীর রিকোয়েস্ট এক মিনিটে কাছাকাছি ৫ জন সিএনজি অটোরিকশা চালকের কাছে যাবে। এর মধ্যে যে চালক প্রথম রিকোয়েস্ট ধরবেন তিনিই যাত্রীকে নিতে আসবেন। যাত্রী বা চালক অ্যাপ থেকে নম্বর পেয়ে দু’জনের মধ্যে কথা বলে নিতে পারবেন।
ঢাকায় অ্যাপ ভিত্তিক পরিবহন সেবা শুরু হয় এক বছরের বেশি সময় আগে। গত বছরের ৭ মে বিশ্বের প্রথম মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিং ঢাকায় শুরু করে শেয়ার এ মোটরসাইকেল ‘স্যাম’। এরপর একই বছরের ২২ নভেম্বর বিশ্বের সবচেয়ে বড় অন-ডিমান্ড রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবার চালু হয়। তারপর ‘পাঠাও’অ্যাপস্ভিত্তিক মোটরসাইকেল সেবা দেওয়া শুরু করে। উবার, স্যাম, পাঠাও ছাড়াও প্রায় ১০টি অ্যাপস্ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা চালু রয়েছে। সিএনজি চালিত অটোরিকশাও অ্যাপসে নিয়ে এখনও প্রস্তুতি পর্যায়ে রয়েছে হ্যালো ও স্যাম । তবে প্রথমই এ সেবা শুরু করতে যাচ্ছে গতি-লেটস্ গো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এসএ/বিএস