রোববার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের মতবিনিময় সভায় একথা জানান তারানা হালিম।
মাদকাসক্তি ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
তিনি বলেন, মাদকের সবচেয়ে বড় টার্গেট তরুণ-শিশুরা। আমরা মাদকের ভয়াল গ্রাস থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করছি, কিন্তু আনাচে কানাচে চলছে। আমরা দৃঢ়ভাবে মাঠে নামতে চাই।
‘কারাগারের অভ্যন্তরে প্রয়োজনে প্রচারণা চালানো হবে। স্কুলভিত্তিক প্রচারণার জন্য কাজ করা উচিত। সেখানে ডিএফপি নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র দেখানোর পর মাদকের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হবে। ’
তারানা হালিম বলেন, আমাদের সমন্বিত কণ্ঠস্বর মাদকের বিরুদ্ধে আরো দৃঢ় হওয়া প্রয়োজন। সেটি আমরা করতে চাই। যারা মাদকের কারবারি করেন তাদের বিরুদ্ধেও কণ্ঠস্বর কঠিন হওয়া উচিত। তরুণ প্রজন্মের বিরাট অংশ ফেসবুকে আছে। ফেসবুকে পেজ খুলে প্রচারণা চালানো, মাদকের শাস্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে টাঙানো, সীমান্তে ডিজিটাল সাইনবোর্ডে প্রচার করা যায়।
সীসার মধ্যে ক্ষতিকারক কী কী জিনিস আছে, তা প্রচার করলে সন্তানকে বিরত রাখা যায় এবং সীসা লাউঞ্জগুলোও বন্ধ করে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা যায় বলে মনে করেন তারানা হালিম।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দীন আহম্মদ বলেন, ইয়াবার সেবা দিন দিন বাড়ছে। কক্সবাজারে যে ইয়াবা ৩০ টাকা থেকে শুরু, ঢাকায় এসে ৩০ হাজার থেকে শুরু হয়ে বিক্রি হচ্ছে। সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তানেরাও জড়িয়ে যাচ্ছে। ফেসবুকেও কেনাবেচা হয়।
‘সর্বগ্রাসী ও সর্ববৃহৎ একটি সমস্যা মাদকাসক্ত। জঙ্গি এক সময় ছিল, জঙ্গি কমে এসেছে। এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে না নিলে হবে না। ’
তিনি জানান, জেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সাত জন করে জনবল থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ২/৩ তিন জন। গাড়ি মাত্র ৫১টি, তাদের সাথে আমাদের গতি কীভাবে মেলাবো?
প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ