ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ফোর-জি সিম বদলের বাড়তি খরচ রোধের আশ্বাস মন্ত্রীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
ফোর-জি সিম বদলের বাড়তি খরচ রোধের আশ্বাস মন্ত্রীর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা: ফোরজি চালুর জন্য সিম রিপ্লেসমেন্টের জন্য বাড়তি খরচ যেন গ্রাহকের পকেট থেকে না যায় সেজন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

ফোর-জি চালু হওয়ার একদিন পর মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর রবি’র ফোর-জির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান মন্ত্রী।

নতুন সেবাটি চালুর জন্য গ্রাহকদের ফোর-জি ব্যবহারযোগ্য সিম কিনতে হচ্ছে।

‘রিপ্লেসমেন্ট ফি’ হিসেবে অপারেটরগুলো গ্রাহকদের কাছে সিম প্রতি ১১০ টাকা করে নিচ্ছে। আর অপারেটরের গ্রাহক সেবা কেন্দ্র ছাড়া অনুমোদিত অন্যান্য কেন্দ্র থেকে নিতে গেলে বাড়তি আরো ১০-২০ টাকা যাচ্ছে গ্রাহকের।
 
মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে সিম প্রতি বাড়তি যে খরচ হয় তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দেওয়ার কথা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
 
রবি’র অনুষ্ঠানে অপারেটরটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ রিপ্লেসমেন্ট ফি’র বিষয়ে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২২ তারিখ একটি অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। সিম রিপ্লেসমেন্টে যে অর্থ নেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে সেদিন আমি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো।  ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

রবি’র সিইও হ্যান্ডসেটের স্বল্পতার বিষয়টি তুলে ধরে সহজলভ্য করতে মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা ফোর-জি নেটওয়ার্ক পেয়েছি, ব্যবহারের জন্য যে ডিভাইস দরকার, সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সরকারের যে সেবা জনগণের কাছে পৌঁছাবে সেগুলো মোবাইল ফোন প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করা হবে। ডিভাইস দরকার ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষার ক্ষেত্রে। যতো দ্রুত সম্ভব প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দেবো। সবার হাতে ডিভাইস তুলে না দিলে হবে না।

আগামী এক-দু’মাসের মধ্যে আরো দুই-একটি মোবাইল ফোন কারখানা উদ্বোধন করা হবে বলে আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, হয়তো এই মুহূর্তে ফোর-জি হ্যান্ডসেটের ঘাটতি মিটবে না, তবে ২০১৮ সালের শেষ দিকে এ ঘাটতি থাকবে না। আমি আশা করবো, ইন্টারনেটের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হলে বাংলাদেশের মানুষ উপকৃত হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
এমআইএইচ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।