শনিবার (০৩ মার্চ) রাত ১০টা থেকে পরদিন (রোববার) সকাল ১০টা পর্যন্ত এ সাবমেরিন ক্যাবল রক্ষণাবেক্ষণে ১২ ঘণ্টা সময় নেওয়া হয়েছে।
প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সাখাওয়াত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ১২ ঘণ্টা রক্ষণাবেক্ষণ সময়।
বিকল্প সাবমেরিন ক্যাবল চালু থাকায় এ সমস্যা বড় হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ঘাটতি মিটবে।
এরআগে প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের একটি রিপিটার পরিবর্তনের জন্য ২৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টা থেকে ২৯ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৯মিনিট পর্যন্ত প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকে ইন্টানেট। ওই সময় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল এবং আমদানি নির্ভর ব্যান্ডউইডথের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হলেও ইন্টারনেটে ধীরগতি দেখা যায়।
এসএমডব্লিউ-৪ থেকে ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করা হয়। ২০০৫ সালে দেশে প্রথমবারের মতো সাবমেরিন ক্যাবল ‘এসএমডব্লিউ-৪’ এ যুক্ত হয় বাংলাদেশ, যার মাধ্যমে ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যায়। এছাড়াও বাংলাদেশ ছয়টি বিকল্প সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
আর গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীতে চালু হয়েছে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার গোড়া আমখোলাপাড়ার এ ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন ক্যাবল থেকে সেকেন্ডে ১৫০০ গিগাবাইট (জিবি) গতির ইন্টারনেট পাবে বাংলাদেশ।
দেশে ইন্টারনেটের চাহিদা ৪০০ জিবিপিএসের বেশি। এর মধ্যে ১২০ জিবিপিএস এতোদিন রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিএসসিসিএলের মাধ্যমে আসছিল। বাকি ২৮০ জিবিপিএস আইটিসির ব্যান্ডউইডথ ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএইচ