শুক্রবার (৩০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে আয়োজিত ‘শিশুর জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট’ শীর্ষক আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং ফেসবুক যৌথভাবে শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, একটা সময় দেশে মাত্র চারকোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করতো। এখন ১৩/১৪ কোটি। অবশ্যই আমরা সেই সার্ভিসটা দিয়েছি বলেই হয়েছে। আমাদের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর কোনো স্বপ্ন নয়। আমাদের তরুণরা যেমন এভারেস্ট জয় করে, ঠিক তেমনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে তারা। এ সময়টাকে আমাদের আরো বেশি কাজে লাগাতে হবে।
এসময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এদুয়ার্দ বেগবেদার ও সাউথ এশিয়ান ফেসবুক প্রতিনিধি শ্রুতি মৌখে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ভালোর পাশাপাশি খারাপ আছে। আমরা এখন শুরু করেছি মাত্র। আমাদের অনেকদূর যেতে হবে। আমরা হলো প্রথম প্রজন্ম। বাবা এবং সন্তান সকলের কাছেই প্রযুক্তিটা নতুন। তাই আমাদের ভালো বিষয়টা বেছে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ে আলোকপাত করে ইউনিসেফ প্রতিনিধি এদুয়ার্দ বেগবেদার বলেন, এ ধরণের আয়োজন আমাদের শিশুদের জন্য বিশেষ গুরুত্বগূর্ণ। এর ফলে তারা শুরু থেকেই ভালোটার প্রতি আকৃষ্ট হবে। এছাড়া অভিভাবকদের জন্যই এটি একটি সচেতনতার জায়গা। কেননা এখন থেকে শিখে তিনি তার সন্তানদের ইন্টার ব্যবহারের খারাপ জায়গা থেকে রক্ষা করতে পারবে।
আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ ও এর ভালো দিকগুলো সম্পর্কে অবহিত করার জন্য রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়। পাশাপাশি শিশুদের জন্য ইন্টারনেটে বিশেষ অ্যাপস তৈরির জন্য পুরস্কৃত করা হয় ৫টি অ্যাপসকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৮
এইচএমএস/ওএইচ/