রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সামিটের ‘গ্লোবাল অপরচুনিটিস ফর ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ শীর্ষক সেমিনারে রোববার (১৫ এপ্রিল) তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্রিয়েটিভ ওয়ার্ল্ডের জন্য আমরা যখন ক্রিয়েটিভ ইকোনমির কথা বলছি, তখন তরুণরা তাদের ধারণাগুলো নিয়ে অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে।
তিনি বলেন, তরুণদের তাদের উদ্ভাবনীগুলো বাজারের কথা চিন্তা করেই বের করতে হবে। শুধু আইডিয়া থাকলেই হবে না। আইডিয়াকে সেলও করতে হবে। এইখাতে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের তরুণরা অনেক মেধাবী। কিন্তু উপস্থাপনটা ভালো নয়। এটাকে শাণিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। নদীর অববাহিকায় আমরা যখন বিদ্যুৎকেন্দ্র বা শক্তি উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন স্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি, তখন সাশ্রয়ী কোনো ধারণা কিন্তু তরুণরা দিতে পারে। আমরা যখন বাসা বাড়িতে বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে কথা বলি। বিল কেন বেশি আসে এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজি। তখন আমরা তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্য নিতে পারি।
গেমিং, মুভি, ডাউনস্ট্রিম অ্যানিমেশন, হার্ড কোডিং, ডিজিটাল ইন্টারফেজ ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে ক্রিয়েটিভ ইকনোমিতে অবদান রাখা যায়।
সেমিনারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে যথাযথ ব্যবহারের পরামর্শ দেন সার্ভিস সলিউশনসের সিইও তানভীর ইব্রাহীম।
আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম খাইরুল আলম, গিকি সোশ্যালের এম আসিফ রহমান, হিউম্যান এইড বাংলাদেশের শিক্ষা বিভাগের পরিচালক সুমাইয়া জাফরিন চৌধুরী, বেসিসের পরিচালক দিদারুল আলম, রেডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিসের চেয়ারম্যান দেলওয়ার হোসেন ফারুক, টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়মান সাদিক নিজেদের চিন্তাভাবনা অনুষ্ঠানে উপস্থিতদের মধ্যে শেয়ার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস