রোববার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ দেশের মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্প নিয়ে সাম্প্রতিক প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে এ সুপারিশ করেছেন জিএসএমএ’র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের হেড অব পাবলিক পলিসি ইমানুয়েলা লেচি।
তিনি বলেন, মোবাইল টেলিকম খাতে আরোপ করা করের হার অন্যান্য খাতের চেয়ে বেশি।
লেচি বলেন, বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানিতে ২৫ শতাংশ কর আরোপ করায় একদিকে স্বল্প আয়ের মানুষ মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যায় পড়ছেন। মাত্র ১৫ শতাংশ ফোরজি এনাবেল হ্যান্ডসেট রয়েছে। থ্রিজি ও ফোরজি গ্রাহক বাড়াতে হলে হ্যান্ডসেটের ওপর কর কমাতে হবে।
বাংলাদেশে অন্যান্য দেশের তুলনায় তরঙ্গ মূল্য বেশি হওয়ায় টেলিকম শিল্পের গ্রাহকরা সুবিধা পাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সূলভমূল্য সেবার মান উন্নত করবে।
এজন্য সঠিক সময়ে তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তিনি।
অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটর অব বাংলাদেশ মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির অনুষ্ঠানে বলেন, তরঙ্গের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা উচিত। বাংলাদেশে ৭৫ শতাংশ বেসিক ফোন ব্যবহার করছে, স্মার্টফোন ব্যবহার করছে ৩০-৩৫ শতাংশ জনগণ। তার মধ্যে ফোরজি এনাবেল সেট মাত্র ১৫ শতাংশ। দেশে আগামীতে ফোরজির বাজার সম্ভবনা রয়েছে। তবে ফোন আমদানিতে ২৫ শতাংশ কর থাকায় তা প্রসার পাচ্ছে না।
মোবাইল শিল্পে করকাঠামো যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করা উচিত বলে মনে করেন নুরুল কবির।
অনুষ্ঠানে রবি’র হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম, বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস সৈয়দ তালাত কামাল এবং টেলিটকসহ অন্য অপারেটরগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮
এমআইএইচ/এসআই