নয়া এ ফিচারটি দেখা যায় পোস্টের নিচেই। লাইক-কমেন্ট-শেয়ার বাটনের ওপরে সংযুক্ত ফিচারটিতে ব্যবহারকারীর প্রতি প্রশ্ন থাকছে এমন যে, ‘Does this post contain hate speech?’ অর্থাৎ ‘এই পোস্টে ঘৃণা ছড়ানোর আধেয় আছে কি?’ প্রশ্নের পর থাকছে ‘Yes’ ও ‘No’ (হ্যাঁ ও না) দু’টি বাটন।
আগে থেকেই ফেসবুকে পোস্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার পদ্ধতি চালু আছে। কিন্তু রিপোর্ট করতে খানিকটা সময় ব্যয় করতে হয়। পোস্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট গেলে সাধারণত ওই পোস্ট সরিয়ে নেওয়া হয়ে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পদ্ধতিটিই আরও সহজ করতে চাইছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
অল্প কিছু সময়ের জন্য এই ‘হেট স্পিচ’ ফিচারটি নিরীক্ষা করা হচ্ছিল বিধায় বিস্তারিত জানা যায়নি। ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ বাটনে ক্লিক করার পর আরও কোনো অপশন আসে কি-না, তাও বোঝা যায়নি।
তবে এই ‘হেট স্পিচ’ ফিচার একেবারে সহজ মনে হচ্ছে বিধায় বিরুদ্ধমত অবদমিত হওয়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। যেহেতু এটি ব্যবহারকারীদের বহুলপ্রতীক্ষিত ‘ডিজলাইক’ বাটন নয়, সেহেতু অনেকে অপছন্দের ব্যাপারটিই সরাসরি ‘হেট স্পিচ’ অপশনে গিয়ে ‘ইয়েস’ চেপে বসতে পারেন। যাতে নির্বিচারে পোস্ট সরিয়ে নেওয়ার মতো দায়ে পড়ে যেতে পারে কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি এ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে ফেসবুকের তরফ থেকে বলা হয়, ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সন্দেহজনক কনটেন্টগুলো কম দেখানো হচ্ছে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী নিউজ ফিডে খবর দেখানোর ক্ষেত্রে সেন্সরশিপ এবং সংবেদনশীলতার একটি সামঞ্জস্য রাখার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৮
এইচএ/