এর আগে গুগল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের চুক্তি করেছিল। পরে চুক্তিটির তথ্য প্রকাশ পেলে প্রতিবাদ জানান গুগল কর্মীরা।
এছাড়া ড্রোন ফুটেজ বিশ্লেষণের জন্য এআই ব্যবহারের সিদ্ধান্তে কয়েকজন কর্মী পদত্যাগও করেন। আরও ১০০০ জন এই চুক্তির প্রতিবাদে আবেদন স্বাক্ষর করেন।
গত সপ্তাহে গুগল কর্তৃপক্ষ তাদের কর্মীদের জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে চুক্তিটি নবায়ন করা হবে না। আর আগামী বছরে গুগলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হবে।
এখন গুগল কর্তৃপক্ষ বলেছে, মানুষকে আহত করে এমন ক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে না।
গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই এআই ব্যবহারের নতুন একটি মূলনীতির রূপরেখাও দিয়েছেন। একটি ব্লগ পোস্টে এই রূপরেখাগুলো উল্লেখ করেন পিচাই।
তিনি এই পোস্টে লিখেছেন, গুগল কিছু ক্ষেত্রে এআই ব্যবহার করবে না, যেসব প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। যেমন- মারণাস্ত্র বা অন্যান্য প্রযুক্তি যেগুলোর মুখ্য উদ্দেশ্য মানুষকে আহত করা, যে প্রযুক্তি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এবং যে প্রযুক্তি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিয়ম ভেঙে নজরদারির জন্য তথ্য সংগ্রহ করে।
এছাড়া তিনি আরও সাতটির বেশি মূলনীতি উল্লেখ করেছেন, যেগুলো ভবিষ্যতে এআই নকশায় নির্দেশনা দিতে পারবে।
এদিকে, ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কিত অগ্রসরবর্তী ফাউন্ডেশনগুলো এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা বলছে, এটা নৈতিক এআই এর জন্য বড় জয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৮
এএইচ/টিএ