এ উপলক্ষে রোববার (১০ জুন) রাজধানীর জিপি হাউজে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এক চুক্তি সই হয়েছে। ইউনিসেফের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২০১৮ সালে এ উদ্যোগে বাংলাদেশের ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী চার লাখ স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের সরাসরি সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করা হবে। পাশাপাশি, এ উদ্যোগের মাধ্যমে ৫০ হাজার বাবা-মা, অভিভাবক ও শিক্ষকদের জানানো হবে কীভাবে নিরাপদ ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। এছাড়া শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্য যোগ করার মাধ্যমে শিশুদের হেল্পলাইন (১০৯৮) সেবার সম্প্রসারণ ঘটানো হবে।
চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন- গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ রিপ্রেজেন্টেটিভ এডোয়ার্ড বেগবিদার। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বৈষম্য হ্রাসের লক্ষ্য অর্জনে গ্রামীণফোন ও টেলিনর গ্রুপ শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তাকে তাদের বৈশ্বিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলি বলেন, আমরা ইন্টারনেট ব্যবহারের তরুণদের নিরাপদ রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। কারণ আমরা চাই, বাংলাদেশের মানুষ কোনো ধরনের শঙ্কা কিংবা রক্ষণশীল মনোভাব ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার করে এর সুবিধাগুলো গ্রহণ করুক। শিশুদের জন্য নিরাপদে শেখার সুযোগ সৃষ্টিতে এবং বিশ্ব তথ্যভান্ডারে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রবেশের সুযোগ বৃদ্ধিতে আমাদের প্রতিশ্রুতি ও আগ্রহ কীভাবে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে ইউনিসেফের সঙ্গে আমাদের যৌথ অংশীদারিত্বই তার প্রমাণ।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার সাধারণ মানুষের কাছে পৌছেছে। অনেকেরই এখন পর্যন্ত ইন্টারনেট নিয়ে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। ২০১৪ সালে থেকে বাংলাদেশে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ইন্টারনেট শিক্ষা এবং এ বিষয়ক পরামর্শদান নিয়ে গ্রামীণফোন সক্রিয়ভাবে কাজ করে আসছে। নিরাপদ ইন্টারনেট কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত দেশের ১ লাখ ত্রিশ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করেছে। এছাড়া গ্রামীণফোন ও ইউনিসেফ, নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার ও এর সর্বোত্তম পদ্ধতি নিয়ে যৌথভাবে অভিভাবকদের জন্য গাইড বই প্রকাশ করেছে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ রিপ্রেজেন্টেটিভ এডোয়ার্ড বেগবিদার বলেন, শিশু-কিশোরদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অনলাইন কার্যক্রম তাদের জন্য অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্ট করেছে এবং নিজস্ব অধিকার নিশ্চিতকরণে তাদের স্বক্রিয় অংশগ্রহণ বেড়েছে। তবে ইন্টারনেট ব্যবহার শিশু-কিশোরদের জন্য কিছু অনাকাঙ্খিত ঝুকি সৃষ্টি করে। তাই আমাদের জরুরিভাবে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে তাদের অনলাইন কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে সচেষ্ট হতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান এবং চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেনসহ গ্রামীণফোন ও ইউনিসেফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৮
টিআর/ওএইচ/