বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) বিবৃতিতে ফেসবুক এ তথ্য জানায়।
বুধবার (১৫ আগস্ট) মিয়ানমারে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও এসব বক্তব্য নিয়ন্ত্রণে ফেসবুকের ব্যর্থতার কারণ নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
গত বছর সামরিক আক্রমণের কারণে তাদের নিজ ভূমি ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ এ ঘটনাকে ‘জাতিগত নির্মূল’ বলেও আখ্যা দেয়। বর্তমানে রোহিঙ্গারা বসবাস করছেন বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্পে।
ফেসবুক বিবৃতিতে জানায়, মিয়ানমারের জাতিগত সহিংসতা ভয়ঙ্কর। ভুল তথ্য ও ফেসবুকে ছড়ানো ঘৃণামূলক কনটেন্ট প্রতিকারে ফেসবুক ব্যর্থ হয়েছে। তবে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে যান্ত্রিক উপায়ে ঘৃণামূলক বক্তব্য সনাক্তের জন্য কাজ করছে। এছাড়া বার্মিজ ভাষা জানে আরও এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি, যাতে ঘৃণামূলক পোস্টগুলো পর্যালোচনা করা যায়।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, চলতি বছরের এপ্রিলে মার্কিন সিনেটকে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের জুনে তারা ৬০ ‘মিয়ানমারের ভাষা বিশেষজ্ঞ’ নিয়োগ দেয়। একই বছরের শেষে আরও ১০০ জন ‘মিয়ানমারের ভাষা বিশেষজ্ঞ’ নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ফেসবুক।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কনটেন্টগুলোর মধ্যে বেশ কিছু পর্নোগ্রাফিক ছবিও রয়েছে। যেগুলো প্রায় ছয় বছর আগে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়।
এছাড়াও অসংখ্য পোস্ট রয়েছে, যেখানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ‘কুকুর’ ও ‘ধর্ষক’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। পোস্টগুলোতে এ জাতিকে উৎখাতের আহ্বানও জানানো হয়েছে।
ঘৃণামূলক বক্তব্য ও সমস্যাজনিত পোস্ট সনাক্তে এখন মিয়ানমারে ফেসবুকের একজন কর্মীও নেই। ফেসবুক মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে তাদের এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
গবেষক ও মানবাধিকার কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুককে ঘৃণামূলক বক্তব্যের বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
এএইচ/টিএ