রোববার ( ১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা জিপি হাউজে এক অনুষ্ঠানে ৮ ফাইনালিস্টের মধ্যে বিজয়ী দুজনের নাম ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি দেখে আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। আমাদের তরুণরা তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে যে কত চিন্তা করছে, সেটা দেখে আমি অভিভূত হয়েছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার এক বছর পরে যুক্তরাজ্য সরকার ডিজিটাল দেশ গড়ার উদ্যোগ নেয়। আর আমাদের ঘোষণার ৬ বছর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ভারত গড়ার উদ্যোগ নেন। বাংলাদেশ এখন সতিক্যারভাবেই তথ্য-প্রযুক্তিতে এগিয়ে চলেছে। আগামীর বাংলাদেশ হবে তথ্য-প্রযুক্তির বাংলাদেশ।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফলি বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের তথ্য প্রযুক্তি উদ্ভাবনী বিকাশের জন্য টেলিনর ইয়ুথ ফোরামেরে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে তরুণরা নতুন নতুন চিন্তা ও উদ্ভাবনের জন্য আরো উৎসাহিত হবে।
টেলিনরের কার্যক্রম রয়েছে এমন ৮টি দেশের ১৮-২৮ বছর বয়সী তরুণদের সবার সামনে জীবন পরিবর্তনকারী ধারণা উপস্থাপনের সুযোগ দিতে নোবেল পিস সেন্টারের সাথে যৌথভাবে প্রতি বছর ‘টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম’ আয়োজন করে টেলিনর গ্রুপ। বাংলাদেশে এবার ষষ্ঠ পর্বের নির্বাচনী আয়োজন করে গ্রামীণফোন।
১৪শ’ আবেদনের মধ্যে থেকে ৭ জনকে গ্র্যান্ড ফিনালের জন্য নির্বাচন করা হয়। আর নির্বাচিত ফাইনালিস্টের বাইরে ৮ম থেকে ২০তম জনের তালিকা থেকে ওয়াইল্ড এন্ট্রি হিসেবে একজন মনোনীত হন। এই ৮ জনের মধ্যে থেকে চূড়ান্তভাবে দুজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
টিআর/এমজেএফ