ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অপারেটর বদলে সফল ৪১৮১ জন, বাধা পেয়েছেন ৫৮৬২ গ্রাহক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৮
অপারেটর বদলে সফল ৪১৮১ জন, বাধা পেয়েছেন ৫৮৬২ গ্রাহক প্রথম পাঁচ দিনে মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের চিত্র

ঢাকা: প্রথম পাঁচ দিনে মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদল করেছেন চার হাজার ১৮১ জন গ্রাহক। আর বাধাগ্রস্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৮৬২ জন গ্রাহক। সব চেয়ে বেশি বাধা এসেছে গ্রামীণফোনের কাছ থেকে। এরপরই রয়েছে বাংলালিংক, রবি ও টেলিটক।

১ অক্টোবর নম্বর বদল না রেখে অপারেটর বদল বা এমএনপি সেবা চালু করে সরকার। এমএনপি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ইনফোজিলিয়ন টেলিটেক বিডি এ সেবা দিচ্ছে।

সেবা গ্রহণের জন্য একজন গ্রাহককে কাঙ্খিত অপারেটরের নতুন সিম ও এমএনপি চার্জ বাবদ ১৫৭ টাকা ৫০ পয়সা গুণতে হচ্ছে।

একবার অপারেটর বদল করলে আবেদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেবা চালু হলেও পরবর্তী ৯০ দিন তিনি আর অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন না।

এমএনপি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওয়া তথ্য নিয়ে মঙ্গলবার (০৯ অক্টোবর) বিটিআরসির প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রথম পাঁচ দিনে মোট ১০ হাজার ১২২টি আবেদনের মধ্যে মোট ৪ হাজার ১১৮ জন গ্রাহক সফলভাবে অপারেটর পরিবর্তন করেছেন। আর বাধাগ্রস্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮৬২ জন। পেন্ডিং অবস্থায় আছে ৭৯টি আবেদন।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের ৭২টি দেশে এমএনপি সেবা চালু রয়েছে। প্রতিবেশি ভারতে ২০১১ সালে এবং পাকিস্তানে এমএনপি সেবা চালু হয় ২০০৭ সালে। এমএনপি সেবা চালু হওয়ায় অপারেটররা সেবার মান বৃদ্ধি করবে বলে জানায় বিটিআরসি।

অপারেটর পরিবর্তন করেছেন ৪১৮১ গ্রাহক
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গ্রামীণফোন থেকে ২৮ জন, রবি থেকে ৩৭ জন, বাংলালিংক থেকে ২৪ জনসহ মোট ৮৯ জন গ্রাহক অপারেটর পরিবর্তন করে টেলিটকে এসেছেন। টেলিটক থেকে ২৫ জন, রবি থেকে ৩৩১ জন, বাংলালিংক থেকে ৩২৬ জনসহ মোট ৬৮২ জন গ্রাহক গ্রামীণফোনে এসেছেন।

টেলিটক থেকে ৮২ জন, গ্রামীণফোন থেকে ১ হাজার ৩৫৬ জন, বাংলালিংক থেকে ৯২৬ জনসহ মোট ২ হাজার ৩৪১ জন গ্রাহক রবিতে এসেছেন। টেলিটক থেকে ২৩ জন, গ্রামীণফোন থেকে ৪৫০ জন, রবি থেকে ৬০৪ জনসহ মোট ১ হাজার ৮৯ জন গ্রাহক অপারেটর পরিবর্তন করে বাংলালিংকে এসেছেন।

বাধা পেয়েছেন ৫৮৬২ জন
টেলিটকে যেতে গ্রামীণফোন ১৬ জন, রবি ১৮, বাংলালিংক ১১ জনসহ মোট মোট ৪৫ জনকে বাধা দিয়েছে। গ্রামীণফোনে যেতে টেলিটক ১৬৪ জন, রবি ৪১৪ জন, বাংলালিংক ২৫৫ জনসহ মোট ৮৩৩ জনকে বাধা দিয়েছে।

রবিতে যেতে টেলিটক ৩২২ জন, গ্রামীণফোন ১ হাজার ৯৭৫ জন, বাংলালিংক ১ হাজার ২৫৩ জনসহ মোট ৩ হাজার ৫৫০ জনকে বাধা দিয়েছে। বাংলালিংকে যেতে টেলিটক ৯৩ জন, গ্রামীণফোন ৭৯১ জন, রবি ৫৫০ জনসহ মোট ১ হাজার ৪৩৪ জনকে বাধা দিয়েছে।

টেলিটক মোট বাধা দিয়েছে ৫৭৯ জন, গ্রামীণফোন ২ হাজার ৭৮২ জন, রবি ৯৮২ ও বাংলালিংক ১ হাজার ৫১৯ জন গ্রাহককে।

রবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১ অক্টোবর থেকে এমএনপি সেবা চালু হওয়ার পর রবির শক্তিশালী ৪.৫জি নেটওয়ার্কে আসতে ইচ্ছুক গ্রাহকের সংখ্যাই বেশি। এ জন্য তারা গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানিয়েছে। এমএনপি সেবায় এখনো সেভাবে গ্রাহক সাড়া পাওয়া না গেলেও এ জন্য গ্রাহকদের আগ্রহী করে তুলতে প্রচারণা আরও বাড়ানো দরকার। এখন পর্যন্ত পাওয়া হিসেবে ৫০ শতাংশ আগ্রহী গ্রাহক নানা কারণে এমএনপি সেবার মাধ্যমে অপারেটর পরিবর্তন করতে পারেন নি। যে সব কারণে গ্রাহক-অপারেটররা এমএনপি সেবা নিতে পারছেন না সেগুলো দূর করতে আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে রবি।

গ্রামীণফোন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এমএনপির মাধ্যমে টেলিকমিউনিক্যাশনস সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা গ্রাহকের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং একইসঙ্গে আমাদের নেটওয়ার্কে গ্রাহকদের স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। একটি কমপ্লায়েন্ট প্রতিষ্ঠান হিসাবে গ্রামীণফোন বিটিআরসি নির্ধারিত এমএনপির গাইডলাইন মেনে চলে সেবা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আর তাই এমএনপির গাইডলাইনের শর্তসাপেক্ষে গ্রাহকরা এ সেবা পাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।