বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে সংগঠনটির এ অতিরিক্ত সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বেসিস সদস্যপদ, প্রক্রিয়া, যোগ্যতা, শর্তাবলী ও যথাযথ প্রতিষ্ঠানকে বেসিসের সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়ে যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন ও বিদ্যমান নীতিমালা সংশোধনের জন্য অতিরিক্ত সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ, সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান, পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন, পরিচালক দিদারুল আলম ও পরিচালক মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক। এছাড়া সভায় বেসিসের দুই শতাধিক সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বর্তমান সময়ের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু নীতিমালা সংশোধন প্রস্তাব সদস্যদের সামনে পেশ করেন। তিনি বলেন, বেসিস গত ২০ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে পরিণত হয়েছে। যার ফলে সরকারসহ সব মহলে বেসিসের গ্রহণযোগ্যতা ও গুরুত্ব বেড়েছে।
ফলস্বরূপ বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা, বিশেষত যারা সফটওয়্যার, আইটি অ্যানাবেল্ড সার্ভিসেস এবং ভার্চুয়াল ব্যবসা করছেন। সেসব প্রতিষ্ঠান এমনকি বাংলাদেশে নিবন্ধিত বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো, সবই বেসিসের সদস্যপদ লাভ করতে এখন আগ্রহী। আমরাও চাই সফটওয়্যার, আইটি অ্যানাবেল্ড সার্ভিসেস এবং ভার্চুয়াল ব্যবসা সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেসিসের সদস্যপদ লাভ করুক। আমরা চাই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পখাতের উন্নয়নে কার্যকর অবদান রাখি। সে লক্ষ্যেই আমাদের এ সংঘবিধি সংশোধনের উদ্যোগ।
সংশোধনী প্রস্তাবনার ওপর উপস্থিত সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেন। বিস্তারিত আলোচনান্তে সংশোধনী প্রস্তাবগুলো বেসিস সদস্যদের কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৮
এসএইচএস/ওএইচ/