এরিকসন:
২০১৮ সালে মাত্র এক বছরেই ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করে সুইডিশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এরিকসন। এর আগের বছর ২০১৭ সালে ১৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
সিমেন্স:
জার্মানভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিমেন্স এ বছর প্রায় সাত হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে বেশিরভাগ কর্মীকে ইতোমধ্যে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ সময় লাগবে সিমেন্সের। চাকরি হারানো বেশিরভাগ কর্মী প্রতিষ্ঠানটির শক্তি ও গ্যাস বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
জার্মান টেলিকম:
কর্মী ছাঁটাইয়ের তালিকায় আছে আরেক জার্মান প্রতিষ্ঠান জার্মান টেলিকম। ২০২১ সাল নাগাদ প্রায় ১০ হাজার কর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘোষণা দেয় এই প্রতিষ্ঠানটি। জার্মান টেলিকমের আইটি বিভাগের কর্মীরাই বেশি আছেন ছাঁটাই তালিকায়।
টেসলা:
চলতি বছরের জুনে প্রায় নয় শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেন টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলন মাস্ক। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৪০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই এর তথ্য পাওয়া গেছে।
বিটি:
ব্রিটিশ টেলিকম অপারেটর বিটি। প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১৩ হাজার কর্মী চাকরি হারিয়েছেন অথবা হারাতে যাচ্ছেন এই বছর।
এসব প্রতিষ্ঠানের বাইরে হুয়াওয়ে, কোয়ালকম, এইচপি এবং রিকোর মতো প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয়। চলতি বছরের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী কর্মী সংখ্যা ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত জানায় হুয়াওয়ে। প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে এইচপি ইনকরপোরেশন আর চার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে রিকোহ। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের ব্যয় কমাতে এক হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কোয়ালকম।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
এসএইচএস/টিএ