এ সময়ের জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইট ফেসবুক প্রথমবারের মত জনসম্মুখে প্রকাশ করেছে ট্র্যাক পদ্ধতির পূর্ণাঙ্গ তথ্যচিত্র। ইউএসএ টুডে’র প্রতিবেদনে উল্লেখ হয়েছে, এ সাইটের প্রকৌশলী পরিচালক, মুখপ্রাত্র, কর্পোরেট মুখপ্রাত্র এবং প্রকৌশল-ব্যবস্থাপকদের বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক সাক্ষ্যাৎকার।
ফেসবুকের ট্র্যাক পদ্ধতি-প্রথমে ব্যবহারকারী ফেসবুকের কোন পেজে গেলে সাথে সাথেই তার ব্রাউজারে কুকিস ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। আর যখন কেউ অ্যাকাউন্টের জন্য সাইন আপ করে তখন তার ব্রাউজারে দুইটি কুকিস এবং সাইন আপ না করে তবে দুইটির মধ্যে একটি কুকিস ইনসার্ট করা হয়। উক্ত কুকিস, ব্যবহারকারী যখন ফেসবুকের লাইক বাটনে ক্লিক করে বা ফেসবুকের প্লাগ-ইন ব্যবহার করে অন্য ওয়েবসাইট ভিজিট করে তখন তার প্রতিটি তথ্য সময়, দিনক্ষণসহ সবকিছু সংরক্ষণ হয়ে থাকে। এমনকি ব্যবহারকারীর কম্পিউটারের মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলোও সংরক্ষণ হয়।
এছাড়া সিডনি মর্নিং এর প্রতিবেদনের জানা গেছে, ফেসবুক তার ব্যবহারকারীর সকল কর্মকান্ডের তথ্য ৯০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ রাখে। সেখানে ব্যবহারকারীর ডিলিট তথ্যও অর্ন্তভুক্ত খেকে যায়। ব্যবহারকারীরা যখন অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করে তখন তার নাম, ই-মেইল অ্যাড্রেস, বন্ধুসহ প্রোফাইলের সকল তথ্যও সংরক্ষণ হতে থাকে। ব্যবহারকারীর ওয়েব অনুসন্ধান এবং ব্রাউজিং অভ্যাস সম্পর্কিত তথ্য ব্যবহার ও বিশ্লেষণ করে তাদের রাজনৈতিক, ধর্মীয় বিশ্বাস, যৌন চিন্তা, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য বের করা হয়। আত:পর তথ্যগুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়।