সামাজিক সাইট ফেসবুক। একনামেই বিখ্যাত।
২০১২ সালের মধ্যভাগেই যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে আইপিও ছাড়বে ফেসবুক। এ তথ্যে সপক্ষে সংশ্লিষ্টা একাধিক যুক্তিও দেখিয়েছেন। এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় অনলাইন গণমাধ্যম ফেসবুক ধীরে ধীরে লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের দিকেই এগোচ্ছে।
বিশ্বের পেশাজীবীদের অনলাইন যোগাযোগমাধ্যম লিঙ্কডইনের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিড হফম্যান জানান, দীর্ঘদির ধরেই ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গকে পাবলিক প্রতিষ্ঠান হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু জুকারবার্গ এগিয়েও যেন পিছিয়েই আসছেন।
তবে ২০১২ সালের মধ্যে আইপিওর মাধ্যমে ফেসবুকে নিবন্ধিত না হলে বড় ধরনের আইনি ঝামেলায় পড়বে ফেসবুক। এরই মধ্যে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিজনেস নেটওয়ার্কিং প্রতিষ্ঠান ‘লিঙ্কডইন’ আইপিও মাধ্যমে শেয়ারবাজারে প্রবেশ করছে। আর তাতে ব্যবসায়িক সাফল্যও এসেছে অনেক বেশি।
সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হফম্যান জানান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিকে থাকতে ফেসবুককে শেয়ারবাজারে নিবন্ধনের কোনো বিকল্প নেই। তাই আগামী বছরেই আইপিও আবেদন উন্মুক্ত করতে হবে। এ জন্য খুব বেশি সময়ও হাতে নেই ফেসবুকের কাছে।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সেক) ফেসবুককে তাদের শেয়ার সংখ্যা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে। একটি লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের জন্য ন্যূনতম ৫০০ শেয়ার থাকা আব্যশক। অর্থাৎ ফেসবুক আইপিও নিবন্ধিত হলে একটি নতুন মাত্রার রেকর্ড সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশ সময় ১৬৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১১