আর রবির পক্ষ থেকে করপোরেট গ্রাহকদের সমস্যা সমাধান এবং ব্যাকিং সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত বছরের ১ অক্টোবর এমএনপি সেবা চালু করে সরকার।
এমএনপি সেবা নিয়ে একজন গ্রাহক ভয়েস ও ডাটা সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। শুরুতে অপারেটর পরিবর্তনে শুরুতে ১৫৮ টাকা খরচ পড়লে এখন মাত্র ৫৮ টাকায় এই সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক।
গত চার মাসে গ্রামীণফোন থেকে অন্য অপারেটরে গেছে ৬২ হাজার ৩১৭ জন, রবি থেকে ২৩ হাজার ৯১১ জন, বাংলালিংক থেকে ৪৫ হাজার ৯২ জন এবং টেলিটক থেকে গেছে ২ হাজার ৩০১ জন গ্রাহক।
আর গ্রামীণফোনে এসেছেন ১২ হাজার ৩৪৬ জন, রবিতে ৯৩ হাজার ৮২৮ জন, বাংলালিংকে ২৫ হাজার ৬১৬৫ জন এবং টেলিটকে এসেছেন ২০০২ জন।
সর্বশেষ জানুয়ারিতে গ্রামীণফোন থেকে রবিতে এসেছেন ১১ হাজার ২৭৭ জন, বাংলালিংকে ১ হাজার ২১৯ জন, টেলিটকে ১৬৩ জনসহ মোট ১২ হাজার ৬৫৯ জন।
রবি থেকে গ্রামীণফোনে এসেছেন ১ হাজার ২৮৩ জন, বাংলালিংকে ২ হাজার ১০ জন এবং টেলিটকে ২১২ জনসহ মোট ৩ হাজার ৫০৫ জন।
বাংলালিংক থেকে গ্রামীণফোনে এসেছেন ৪৮০ জন, রবিতে ১০ হাজার ২৫১ জন, টেলিটকে ১০৫ জনসহ মোট ১০ হাজার ৮৩৬ জন।
টেলিটক থেকে গ্রামীণফোনে এসেছেন ৯২ জন, রবিতে ২৯৫ জন এবং বাংলালিংকে ৬১ জনসহ মোট ৭২২ জন গ্রাহক।
জানুয়ারিতে মোট ২৭ হাজার ৪৪৮ জন অপারেটর বদল করেছেন। এরমধ্যে গ্রামীণফোনে মোট ১ হাজার ৮৫৫ জন, রবিতে ২১ হাজার ৮২৩ জন, বাংলারিংকে ৩ হাজার ২৯০ জন এবং টেলিটকে ৪৮০ জন গ্রাহক এসেছেন।
আর এই এক মাসে অপারেটর বদলে বাধা পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪২০ জন।
রবির বিবৃতি
রবির হেড অব করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স সাহেদ আলম এক বিবৃতিতে বলেন, আমাদের নেটওয়ার্ক ও সেবার মান প্রতিযোগীদের চেয়ে অনেক উন্নত হওয়ার কারণেই এমএনপির মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গ্রাহক রবিকে বেছে নিয়েছেন বলে আমরা মনে করি।
তিনি বলেন, গ্রাহকের আস্থার প্রতিদান দিতে নেটওয়ার্ক ও সেবার মান ধরে রাখতে আমরা দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করেছিএবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। তবে করপোরেট গ্রাহকদের এমএনপি সেবা গ্রহণে এখনও বড় ধরনের জটিলতা রয়ে গেছে।
‘এমএনপি সেবা চালু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত একটি মাত্র করপোরেট প্রতিষ্ঠান সফলভাবে এমএনপি সেবা নিতে পেরেছে। ব্যাংকের ওটিপি সেবা পেতেও সমস্যায় পড়ছেন এমএনপি সেবা নেওয়া অনেক গ্রাহক। আমরা আশা করি নিয়ন্ত্রক সংস্থা এ সব সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএ