স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার অনিরাপদ হয়ে উঠছে শিশু-কিশোর, এমনকি বড়দের জন্যও। এসব সাইট থেকে পর্নো আসক্তির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম বা ভাইরাস ছড়ানো হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মহল থেকে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের দাবি উঠছিল। এরইমধ্যে সরকার পর্নো ওয়েবসাইট এবং জুয়ার বা বেটিংয়ের ওয়েবসাইট বন্ধের উদ্যোগ নেয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব সাইট বন্ধের উদ্যোগ নেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কমিশনের নির্দেশে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এবং পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগ এসব বিষয় নিয়ে সোচ্চার হয়েছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইআইজি এবং আইএসপিগুলো নির্দেশিত ওয়েবসাইট ও লিঙ্কগুলো বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। সর্বশেষ রোববারও (১৭ ফেব্রুয়ারি) ৫৬টি সাইট বন্ধের নির্দেশ দেয় বিটিআরসি।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, এবার খোঁজ পেলাম ১৫ হাজার ৬৩৬টি পর্নো ও দুই হাজার ২৩৫টি জুয়ার সাইট। সঙ্গে আছে টিকটক ও বিগো। সবগুলোতেই পড়ছে তালা। জয় বাংলা। আমার সহকর্মীদেরকে অনেক ধন্যবাদ সহায়তার জন্য।
আইএসপিএবি’র সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, এ যাবৎ তিন হাজারের বেশি ওয়েবসাইট ও লিঙ্ক বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে সাইটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এসব ওয়েবসাইট বন্ধের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, সবার জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে। তা না হলে অসাধুগোষ্ঠী তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে অর্থাৎ নতুন ওয়েবসাইটে আপলোড করতে থাকবে।
বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, এ পদক্ষেপের মাধ্যমে নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করার পাশাপাশি অযাচিত ব্যান্ডউইডথ খরচও কমে যাবে এবং নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস