আজ থেকে ঢাকায় শুরু হয়েছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলন ‘ই-এশিয়া২০১১’। ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তিকেন্দ্রিক এ আয়োজন সর্ববৃহৎ হলেও উদ্বোধনী দিন শেষেও অনেক স্টলকে প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। অনেক স্টলে এখনও চলছে সাজসজ্জার কাজ। থাইল্যান্ডের একটি বড় স্টল থাকলেও এটি জনশূন্য।
নকিয়া আকর্ষণীয় স্টল করলেও সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এটি ছিল জনশূন্য। তবে অন্য দুটি মোবাইল ফোন নির্মাতা হুয়াওয়ে এবং এরিকসন তাদের স্টল ভালোভাবেই সাজিয়েছে।
এদিকে জাপান, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম এবং ভারত এ আসরে একটি করে স্টল দিয়েছে। কিছু পণ্য এবং সেবা নিয়ে তারা এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছে। বাংলাদেশে সদ্যপ্রকাশিত ল্যাপটপ ‘দোয়েল’ ব্র্যান্ডের একটি স্টল দিয়েছে। এ স্টলে দর্শনার্থীদের ভিড় চোখে পড়ে। এখানে দোয়েলের কারিগরি বিভিন্ন দিক নিয়ে দর্শনার্থীদের প্রশ্ন করতে দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান সলিউশন এক্সচেঞ্জ সেবা নিয়ে এখানে অংশ নিচ্ছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য, টেলিযোগাযোগ, কৃষি, মোবাইল অপারেটর টেলিটক তাদের বিভিন্ন সেবাধর্মী পণ্য ও সেবার কারিগরি সুবিধা দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরছে।
আগামীকাল বেশ কয়েকটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এখানে আন্তর্জাতিকমানের নেটওয়ার্কিং সেবা নিয়ে স্টল দিয়েছে সিসকো। এ ছাড়াও প্রদর্শনীর প্রবেশ পথেই জিপিআইটি তাদের পণ্যসেবার তথ্য নিয়ে স্টল সাজিয়েছে।
সব মিলিয়ে উদ্বোধনী দিনে কয়েকটি সেমিনার ছাড়া এ প্রদর্শনী খুব একটা দর্শক টানতে পারেনি। ই-এশিয়ার দ্বিতীয় দিন (২ ডিসেম্বর) সরকারি ছুটির দিন হওয়ার দর্শক সমাগম বেশি হবে এবং সেমিনারগুলো আরও জমে উঠবে বলে আয়োজক সূত্র জানিয়েছে।
সন্ধ্যায় বিজ্ঞান এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান প্রদর্শনীর সার্বিক আয়োজন ঘুরে দেখেন। এখানে ই-এশিয়ার সম্মেলন বাংলাদেশের আইসিটি খাতের বড় অর্জন বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এশিয়ার আইসিটি বাজারে নিজের উদ্ভাবন আর ব্যবসাবান্ধব অবস্থানকে তুলে ধরতে পারবে বলেও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
শুক্রবার সকাল ৯টায় এ প্রদর্শনী সবার জন্য খুলে দেওয়া হবে। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। এটি শেষ হবে রাত ৮টায়।
সময় ১৯৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১১