ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

জিপি-রবির টুজি-থ্রিজি লাইসেন্স বাতিল হবে না কেন, শোকজ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯
জিপি-রবির টুজি-থ্রিজি লাইসেন্স বাতিল হবে না কেন, শোকজ জিপি ও রবির লোগো

ঢাকা: রাজস্ব বকেয়া আদায়ে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি’র টু-জি ও থ্রি-জি লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিটিআরসি দুই মোবাইল অপারেটরের প্রধানকে চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন খাঁন।

তিনি জানান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ এর ৪৬(২) ধারা মোতাবেক মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির ২-জি ও ৩-জি লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তার কারণ দর্শানোর জন্য এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ দুই অপারেটর অনুকূলে পাঠানো হয়েছে।

বিটিআরসি জানায়, গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির রাজস্ব পাওনা ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে পাওনা ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। দীর্ঘদিনের এ পাওনা পরিশোধ না করায় গত ০৪ জুলাই বিটিআরসি পাঁচটি আইআইজি প্রতিষ্ঠানকে গ্রামীণফোন এবং রবির অনুকূলে ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

পরে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের জয়ের মধ্যস্থতায় দুই অপারেটরের ব্যান্ডউইথ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ১৭ জুলাই সেই ব্যান্ডউইথ ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, কোনো উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যান্ডউইথ কিছু বন্ধ করার ব্যবস্থা করলাম। উদ্দেশ্যে হলো সরকারি টাকা যেনো উদ্ধার হয়ে যায়। এটা পাবলিক ডিমান্ড, রাষ্ট্রীয় টাকা। এটা কারও মাফ করারও ক্ষমতা নেই। কম নেওয়ারও সুযোগ নেই।

পাওনা টাকা আদায় না হলে বিটিআরসি অপারেটর দু’টিতে প্রশাসক নিয়োগ করার চিন্তা করছে বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে গ্রামীণফোন বলেছে, বিটিআরসির নোটিশটি অযৌক্তিক। একইসঙ্গে একটি বিতর্কিত অডিট দাবির বিষয়ে আমাদের গঠনমূলক সমাধান প্রস্তাবের বিপরীতে তাদের অনীহার আরেকটি বহিঃপ্রকাশ। নোটিশটি পর্যালোচনা করার পরেই গ্রামীণফোন উত্তর দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রতিষ্ঠান, শেয়ারহোল্ডার ও সম্মানিত গ্রাহকদের অধিকার রক্ষায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার অন্যায্য যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বিবৃতিতে জানান, লাইসেন্স বাতিলের কারণ দর্শানোর নোটিশ টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া এবং গ্রাহকদের মধ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করবে। যথা সময়ে আমরা কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯
এমআইএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।