ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

প্রতি উপজেলায় একটি করে কারিগরি কলেজ হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
প্রতি উপজেলায় একটি করে কারিগরি কলেজ হবে ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো-২০১৯ এর সেমিনারে বক্তারা

ঢাকা: দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল বা কারিগরি কলেজ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এসব কলেজ থেকে তরুণদের কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো-২০১৯ এর সমাপনীতে এক সেমিনারে অংশ নেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

 ‘মেইড ইন বাংলাদেশ- ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক এ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর প্রায় দুই লাখ তরুণ-তরুণী শিক্ষাজীবন শেষে চাকরিজীবনে প্রবেশ করে।

কিন্তু বিশাল এই গোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সরকারের জন্য সত্যিই এক বড় চ্যালেঞ্জ। এরজন্য আমরা কারিগরি শিক্ষার দিকে জোর দিচ্ছি। এর মাধ্যমে আমরা প্রকৌশলী ও মিড লেভেল ইঞ্জিনিয়ার পাবো।  

দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে শাহরিয়ার বলেন, বিগত প্রায় দশ বছর ধরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছি আমরা, এখন ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৪ সাল নাগাদ আমরা দুই অংকের জিডিপি অর্জন করবো বলে আশা রাখি। বাংলাদেশ এশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে শীর্ষ দেশ, বিশ্বে অন্যতম। আমাদের এখন লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ২৬তম অবস্থানে আসা। আর এটা সম্ভব।  

‘দেশে এখন যে পরিবেশ বিরাজ করছে তা দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের দারুণভাবে আকৃষ্ট ও উৎসাহিত করছে। আমাদের হাইটেক পার্কগুলোতে বন্ডেড ওয়্যারহাউস আছে, যেখানে উৎপাদনের কাঁচামাল বিনা শুল্কে এনে রাখা যাবে। ট্যাক্স হলিডে, কর বোনাসসহ বিভিন্ন প্রণোদনা রয়েছে আমাদের। বাংলাদেশ বিনিয়োগের এখন আদর্শ জায়গা।  

বাংলাদেশের অবকাঠামো প্রতিযোগী অনেক দেশের চেয়ে ভালো উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকা ও এর আশপাশে বা চট্টগ্রামে কারখানা বা ব্যবসা উদ্যোগ স্থাপন করলে মাত্র ছয় ঘণ্টায় প্রায় ৯০ শতাংশ সম্ভাব্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। এমনটা অনেক উন্নত দেশেও নেই।  

সেমিনারে মডারেটর হিসেবে ছিলেন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান সবুর খান। প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শামসুল আলম, স্যামসাংয়ের বাংলাদেশি প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুহুল আমিন মাহবুবসহ অন্যরা।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।