বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে অ্যাওয়ার্ড নাইটের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আয়োজন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যবসায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করলেন যে- বাংলাদেশতো অর্থনৈতিকভাবে তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরশীল। এরপর কী থাকবে? প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় উত্তর দিয়ে বললেন, আইসিটি। আইসিটিতে আসলেই যে সফলতা আমরা দেখছি তার মাঝে সামনের দিনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় দেখছি। আইসিটির ওপর আস্থা রেখে আমরা বলতে পারি, লক্ষ্যমাত্রার আগেই আমরা এসডিজি অর্জন করবো। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশে প্রতিবছর পাঁচ কোটি স্মার্টফোন এবং চার লাখ ল্যাপটপ আমদানি করতে হয়। অথচ আমাদের এখানেই পাঁচ কোটি মধ্যবিত্ত গ্রাহক শ্রেণী রয়েছে যা একটি বিশাল মার্কেট। এমন অবস্থায় আমরা শুধু আমদানিকারক দেশ হিসেবে থাকতে চাই না। নিজেদের দেশে এসব ডিভাইস প্রস্তুত করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করতে চাই। আমরা হতে চাই রপ্তানিকারক দেশ, ছড়িয়ে দিতে চাই ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’। এজন্য যেসব খাতে কাজ করা দরকার সরকারি নীতি সেভাবেই প্রণয়ন করে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। যুব উদ্যোক্তাদের সব স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। এ লক্ষ্যে স্টার্টআপের জন্য ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সম্পর্কিত ইমার্জিং টেকনোলজি নিয়ে গবেষণার জন্য প্রধানমন্ত্রী রেখেছেন ৫০ কোটি টাকা।
বক্তব্য পর্ব শেষে প্রথমবারের মতো ১০টি স্টার্টআপকে দেওয়া হয় ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট’। বিভিন্ন আবেদন থেকে ৩০টিকে প্রাথমিকভাবে পিচিংয়ের জন্য বাছাই করা হয়। সেখানে থেকে শীর্ষ ১০টি স্টার্টআপের প্রতিটিকে দেওয়া হয় ১০ লাখ টাকা করে অনুদান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন এক্সপোর সহ-আয়োজক বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শাহীদ-উল-মুনীর, আইসিটি বিভাগের সচিব এনএম জিয়াউল আলমসহ এ খাত সংশ্লিষ্ট শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
এসএইচএস/এইচএ/