তিনি বলেন, বর্তমানে ইনডেক্সের ১১৫ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। আগামী পাঁচবছরে আরও ৫০ ধাপ উন্নতি করে দুই অংশে আসবো আমরা।
রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বেশ কয়েকটি সরকারি সেবা এবং ই-গভর্মেন্ট মাস্টার প্ল্যান রিপোর্টের মোড়ক উন্মোচনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সজীব ওয়াজেদ জয় এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ১০ বছর আগে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখন অনেকেই বুঝতে পারেনি যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ কী? তবে অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা তাদের ভুল প্রমাণ করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। আজ যা দেখছেন তা ডিজিটাল বাংলাদেশের সামান্য কিছু। আরও অনেককিছু আমরা করেছি এবং সামনে করবো।
অনুষ্ঠানে ‘ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান’ রিপোর্টের মোড়ক উন্মোচনের পাশাপাশি পাইলট প্রকল্প হিসেবে ‘ডিজিটাল মিউনিসিপালিটি সার্ভিসেস সিস্টেম’, ‘একসেবা’, ‘একপে’ এবং ‘একশপ’ এরও উদ্বোধন করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু ক্যাং ইল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এসব সরকারি সেবা সম্পর্কে জয় বলেন, এই পাইলট প্রজেক্ট দিয়ে প্রায় ২০ লাখ নাগরিককে সেবা দেওয়া হবে। ২০২০ সালের মধ্যে ৩০০ মিউনিলিপালিটিকে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এখানে আরও ডিজিটাল সার্ভিস অন্তর্ভুক্ত হবে। ২০২১ সালের মাঝে দেশের অধিকাংশ নাগরিক অধিকাংশ সেবা হয় তাদের হাতের ছোঁয়ার মাধ্যমেই পাবে, নয়তো আমাদের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে নিতে পারবে।
ডিজিটাল সেবাগুলো সম্পর্কে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ই-গভর্নেন্স ব্যবস্থায় এগিয়ে যেতে হলে দরকার সময় এবং অর্থের ব্যয় কমিয়ে আনা। তার জন্যই এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এর উদ্যোগে আমরা করেছি একশপ, একপে এবং একসেবা।
‘একসেবায় এখন পর্যন্ত ১৬২টি সরকারি সেবা আছে। নাগরিকদের ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বা ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটেও যেতে হবে না। এখান থেকেই এসব সেবা পাবেন। পর্যায়ক্রমে এতে আরও তিন হাজার সেবা অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য আছে আমাদের। একপে-এর মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন ইউটিলিটি সেবার বিল ও অন্যান্য ফি এক জায়গা থেকেই দেওয়া যাবে। আর একশপ এর মাধ্যমে দেশের আনাচে কানাচে থেকে পণ্য উৎপাদক বা উদ্যোক্তারা ই-কমার্সে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারবে। ’
প্রসঙ্গত, এসব সেবা পরীক্ষামূলকভাবে ১০টি মিউনিসিপাল অঞ্চলে (সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা) শুরু করা হয়েছে। ৩২৯টি মিউনিসিপাল অঞ্চলকে এর আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
অনুষ্ঠানে ১০০ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
এসএইচএস/এমএ