সোমবার (২১ অক্টোবর) গ্রামীণফোন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি চার লাখ নতুন গ্রাহক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করেছে, যা ২০১৮ সালের শেষ প্রান্তিকের থেকে ৬ শতাংশ বেশি। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে নয় লাখ।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, প্রতিকূল নিয়ন্ত্রকমূলক পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও আমরা তৃতীয় প্রান্তিকে শক্তিশালী ব্যবসায়িক ফলাফল অর্জন করেছি। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন বা এনওসি বন্ধের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও গ্রামীণফোন দেশের ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ গ্রাহককে তার নেটওয়ার্কে আওতায় মোবাইল সেবা দিচ্ছে।
‘৬৯ শতাংশ জনগোষ্ঠী আমাদের ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে। ভয়েস সেবা থেকে আমাদের প্রাপ্ত আয় বাড়ছে এবং এর পাশাপাশি ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারসহ ইন্টারনেটভিত্তিক আয় বৃদ্ধিও পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমাদের গ্রাহক সংখ্যার ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। ’
তিনি আরও বলেন, আমাদের শেয়ার হোল্ডারদের স্বার্থরক্ষা, গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মানের সেবা দেওয়া এবং দেশজুড়ে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এটি ধরে রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ মার্জিনসহ তৃতীয় প্রান্তিকে কর পরবর্তী নিট মুনাফা ছিল ৭৩০ কোটি টাকা। এই সময়কালের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৫ দশমিক ৩৮ টাকা।
গ্রামীণফোনের সিএফও ইয়েন্স বেকার বলেন, ২০১৯ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন উল্লেখযোগ্য মার্জিনসহ উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক ফল অর্জন করেছে। বাংলাদেশের জনগণের জন্য যথাযথ মোবাইলসেবা নিশ্চিত করতে আমরা মানসম্মত গ্রাহক বাড়ার পাশাপাশি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ও পরিচালন ব্যবস্থা তৈরি করতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবো।
তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক কাভারেজের জন্য ২১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এনওসি দেওয়া বন্ধের কারণে পরিকল্পনার তুলনায় এ বিনিয়োগের পরিমাণ কমেছে। নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানটি এক হাজার ৮১২টি নতুন ফোরজি সাইট (টাওয়ার) চালু করেছে, যার ফলে মোট সাইটের সংখ্যা এখন ১৬ হাজার ৩৮৯টি।
কর, ভ্যাট, ফিস, ফোরজি লাইসেন্স ও তরঙ্গ বরাদ্দের ফি বাবদ গ্রামীণফোন বছরের প্রথম নয় মাসে সর্বমোট ছয় হাজার ১৪০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে, যা প্রতিষ্ঠানটির মোট আয়ের ৫৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ