তিনি বলেছেন, আমরা ফ্রিল্যান্সারদের রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার জন্য ডাটাবেজের কাজ শেষ করে এনেছি। আশা করছি আগামী জানুয়ারি থেকে তাদের রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনতে পারব।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) নিজস্ব কার্যালয়ে ‘দ্য রোল অব মিডিয়া ইন প্রোমটিং এসএমই ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। ইআরএফ, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এবং প্রিজম বাংলাদেশ এ কর্মশালার আয়োজন করে।
ইআরএফের প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন সালমান ফজলুল (এফ) রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প সচিব আবদুল হালিম, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান মোস্তাক হোসাইন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড ন্যাশনাল সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্রতিনিধি ম্যানফ্রেড ফারনহোলজ প্রমুখ।
সালমান এফ রহমান বলেন, একদিন এক যুবক আমাকে এসে বললো, আমি ফ্রিল্যান্সার। অস্ট্রেলিয়ান এক নারীর প্রতিষ্ঠানের ওয়েবপেজ ডেভেলপ করে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি আমাকে ৫০০ ইউএস ডলার পেইড করেছেন। কিন্তু ব্যাংক আমাকে টাকা দিচ্ছে না। ব্যাংক জানতে চায়, ওই নারীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক কী, কেনো টাকা পাঠালেন- এসব। এছাড়া বিয়ের বাজার থেকে শুরু করে বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করতে গেলেও আমাদের বিপত্তিতে পড়তে হয়। তাই ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি চাই।
তিনি বলেন, এ ধরনের অনেক অভিযোগ পাওয়ার পর আমি আইসিটি প্রতিমন্ত্রীসহ বাংলাদেশ ও অন্যান্য ব্যাংকের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করলাম। এরপর আমরা ফ্রিল্যান্সারদের একটি ডাটাবেজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। এ ডাটাবেজের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ কাজ শেষ হলেই প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সারকে রেজিস্ট্রশনের আওতায় আনা হবে। রেজিস্টার্ড থাকলে টাকা ওঠাতে গেলে ব্যাংক কোনো প্রশ্ন করবে না। এছাড়া এ সনদ দিয়ে তারা অন্যান্য কাজও সহজেই করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, ডাটাবেজ শুরুর আগে আমাদের ধারণা ছিল দেশে হয়তো দুয়েক লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে দেখলাম ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ছয় লাখেরও বেশি। তারা প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে রেমিট্যান্স আয় করছেন। আর এর বেশির ভাগ আসে অবৈধভাবে। এদের বৈধতা দিলে বছরে এক বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসবে বলে জানান তিনি।
শিল্প সচিব আবদুল হালিম বলেন, সরকারের পলিসি দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ২০৩০ সালের মধ্যে বিসিকের অবদান ৪০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া। এরইমধ্যে এসএমই’র অবদান ২৮ শতাংশ। যা আগে ছিল ২৫ শতাংশ। দিনদিন জাতীয় অর্থনীতিতে এসএসই’র অবদান বাড়ছে। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ হলেও জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান সবচেয়ে বেশি। ফলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
মোশতাক হোসাইন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার দেশে তিন কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার ঘোষণা দিয়েছে। এ সময়ে আমরা ২০ হাজার একর জমিতে ৫০টি বিসিক শিল্পনগরী গড়ে তুলে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারব। এছাড়া প্রায় ১০ হাজার লোককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বর্তমানে বিসিক শিল্পনগরীতে সর্বোচ্চ এক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছেন উদ্যোক্তারা। এছাড়া আমরা ওয়ানস্টপ সেন্টার চালু করেছি। ফলে দিনদিন এ খাত বড় হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
জিসিজি/টিএ