মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দার আই ইগনাতভের নেতৃত্বে রাশিয়ার স্যাটেলাইট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গ্লাভকসমসের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এ আগ্রহ প্রকাশ করে।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে সরকার মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নেতৃত্বে কার্যক্রম শুরু করেছে।
রাশিয়াকে বাংলাদেশের পরীক্ষিত অকৃত্রিম বন্ধু উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়া বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যে সহায়তা করেছিল, তা ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে। স্বাধীনতার সময় থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়া যে সহায়তা করছে, তা প্রশংসাযোগ্য। এসময় মন্ত্রী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে রাশিয়ার সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বিপ্লবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতার সুফল দেশের মানুষ পেতে শুরু করেছে। এছাড়া বাংলাদেশে টেলিকম ও ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে রাশিয়ার সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকারের ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগবান্ধব নীতির ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ অত্যন্ত লাভজনক।
তিনি সরকারের বিনিয়োগবান্ধব এই নীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানান। এসময় আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, গ্লাভকসমসের সিনিয়র কর্মকর্তা ভিতালি সাফোনভ, সার্জে বারাইকিন, আলেকজান্দার কাসনিন ও কিরিল প্লতনিকভ।
এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান জহুরুল হক, বিসিসিএলের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, বিটিসিএলের এমডি আজিজুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মহিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
জিসিজি/টিএ