বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ১৯তম অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণফোন ও রবির সঙ্গে টেলিকম মন্ত্রী ও বিটিআরসি চেয়ারম্যানের কয়েক দফা বসা হয়েছিল।
বিষয়টি আদালতে, সেজন্য এ বিষয়ে আর কথা বলা ঠিক না মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, কোর্ট থেকে যেটা হবে সেটা তাদেরও মানতে হবে, আমাদেরও মানতে হবে।
‘তবে আমরা মনে করি এ সমস্ত ক্ষেত্রে বারবার কোর্টে না গিয়ে কোর্টের বাইরে সমাধান হওয়া উচিত। তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর আমরাও সরকার যেভাবে এগিয়ে এসেছিলাম- সরকারি মনোভাব দেখাইনি, আন্তরিকভাবে এগিয়ে গিয়েছিলাম, সে ধরনের সহযোগিতা পাইনি। অনেক দিন অপেক্ষা করা হয়েছে, টাকা দেবে টাকা দেবে, টাকা তারা দেয়নি। আমাদের যে পাওনা আছে, টাকা না দিলে কী নিয়ে আলোচনা করবো? যদি টাকা কিছু দিতো তাহলে বুঝতাম আন্তরিকতা আছে। ’
গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে আসছে বিটিআরসি। কয়েক দফা চেষ্টায় সেই টাকা আদায় করতে না পেরে লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়ে নোটিশ পাঠানো হয় দুই মোবাইল ফোন অপারেটরকে।
অন্যদিকে টাকার ওই অংক নিয়ে আপত্তি রয়েছে গ্রামীণফোন ও রবির। বিটিআরসি সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তিতে রাজি না হওয়ায় দুই অপারেটর যায় আদালতে। গ্রামীণফোন ও রবির নিরীক্ষা আপত্তির টাকা আদায়ে অর্থমন্ত্রীর উদ্যোগে ফল না আসায় কোম্পানি দু’টিতে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে টাকা আদায় প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু করেছে সরকার।
এদিকে গ্রামীণফোনের আপিল গ্রহণ করে এই মোবাইল অপারেটরের কাছ থেকে বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা আদায়ে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
জিসিজি/এইচএ/