ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ঘণ্টা বাজিয়ে শুরু হলো এপিকটার ১৯তম আসর

শাওন সোলায়মান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
ঘণ্টা বাজিয়ে শুরু হলো এপিকটার ১৯তম আসর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোয়াং নিন প্রদেশের নেতা এবং প্রভিনসিয়াল পিপলস কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ডং হুই হাউ। ছবি:বাংলানিউজ

হা লং ভিয়েতনাম থেকে: ভিয়েতনামের ঐতিহ্য অনুসরণ করে ঘণ্টা বাজানোর মধ্যে দিয়ে পর্দা উঠল এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ এর। সব প্রস্তুতি শেষ ভিয়েতনামের হা লং শহরে শুরু হলো এপিকটার ১৯তম আসরের অনুষ্ঠানিকতা। 

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এবারের আয়োজনের ভেন্যু উইন্ডাম লিজেন্ড হা লং হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে আসরের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোয়াং নিন প্রদেশের নেতা এবং প্রভিনসিয়াল পিপলস কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ডং হুই হাউ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন এপিকটার প্রেসিডেন্ট স্ট্যান সিংঘ। ভিয়েতনাম সফটওয়্যার অ্যান্ড আইটি সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশনের (ভিনাসা) সভাপতি লু থান লং এর সভাপতিত্বে এপিকটার সদস্য সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতা, নির্বাহী কমিটির সদস্য, বিচারক, ভিয়েতনামের নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা এবং পর্যবেক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোয়াং নিন প্রদেশের নেতা ডং হুই হাউ বলেন, হা লং খুবই সুন্দর একটি শহর। কোয়াং নিন প্রদেশ এবারের আয়োজনের শহর হওয়াতে আমরা বেশ আনন্দিত। আশা করি হা লং শহরে আপনাদের অনুষ্ঠান সফল হবে। একই সঙ্গে এপিকটার পাশাপশি আপনাদের দারুণ কিছু সময় কাটবে এখানে। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে ভিয়েতনামও এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের প্রদেশেও এ খাতের উন্নতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা সরকারি সেবাগুলোতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এনেছি স্মার্ট সিটি গড়ে তুলছি। ২০১২ থেকে এখন পর্যন্ত বড় পরিসরে আটটি ই- গভর্নমেন্ট প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করেছি। হা লং এর সঙ্গে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সমুদ্র যোগাযোগ রয়েছে। আমরা আরও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করছি। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য কোয়াং নিন খুব দারুণ একটি স্থান হতে পারে।  
এপিকটার প্রেসিডেন্ট স্ট্যান সিংঘ এর সভাপতিত্বে সদস্য রাষ্ট্রের সংগঠনগুলোর প্রধানদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কোয়াং নিন প্রদেশের নেতা ডং হুই হাউ।  ছবি: বাংলানিউজএপিকটার প্রেসিডেন্ট স্ট্যান সিংঘ বলেন, আগামী চারদিনে দারুন কিছু অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ রয়েছে আমাদের সামনে। এ ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা পারস্পরিক বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে পারি। আমাদের মধ্যে সংস্কৃতি হবে বন্ধুত্বের এবং ব্যবসায়িক সম্পর্কের পারস্পরিক দুয়ার উন্মোচিত হবে। আমি সবাইকে বলবো যে এ আয়োজনকে শুধু পুরস্কার জয়ের আয়োজন হিসেবে না দেখে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার দুয়ার হিসেবে দেখা উচিত। এপিকটার প্রথম আসর ভিয়েতনামে হয়েছিল।  আমরা আশা করি সবার সহযোগিতায় সবাইকে নিয়ে আবারও একটি সফল আয়োজন হবে।  

আলোচনা পর্ব শেষে শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, চায়না, হংকং, ম্যাকাও, ব্রুনেই, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, চাইনিজ তাইপে, জাপান, ভিয়েতনাম এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা ঘণ্টা বাজিয়ে আয়োজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এতে বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান ঘণ্টা বাজান।  

এর আগে এপিকটার প্রেসিডেন্ট স্ট্যান সিংঘ এর সভাপতিত্বে সদস্য রাষ্ট্রের সংগঠনগুলোর প্রধানদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কোয়াং নিন প্রদেশের নেতা ডং হুই হাউ।  

** এপিকটায় অংশ নেবে দেশের ৩২ প্রকল্প

এবারের আসরে এপিকটার ১৫টি সদস্য রাষ্ট্র থেকে ২৫০টি দলে ছয় শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছে। এছাড়াও সদস্য সংগঠনগুলোর আরও প্রায় আড়াই হাজার প্রতিনিধি এতে উপস্থিত থাকবেন। বাংলাদেশ থেকে ৩২টি দলে মোট ৯৪ জন প্রতিনিধি এসেছেন এবারের আয়োজনে।  

.

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এসএইচএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।