বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) মিলনায়তনে আয়োজিত ‘সত্য-মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টানেটে শেয়ার পরে’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা জানান।
পলক বলেন, দেশের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ভাবনার মাধ্যমে উদ্যোক্তা হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ একাডেমি (আইডিয়া)’ স্থাপন করেছেন।
‘নতুন উদ্ভাবকদের আর্থিক সহযোগিতার উদ্দেশে ‘স্টার্ট আপ বাংলাদেশ’ প্রোগ্রামেকে ১০০ কোটি টাকা বাজেট দেওয়া হয়েছে। আমাদের নবীন উদ্যোক্তা শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অফেরতযোগ্য ঋণ দেওয়া হবে। এছাড়া তাদের পণ্যগুলোকে বাজারজাত করতে ভবিষ্যতে এক থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। ’
এর আগে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইন্টার অব থিংস (আইওটি)’ ল্যাব ও ‘মোবাইল গেইমস অ্যান্ড অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’ ল্যাবের উদ্বোধন করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অর্থায়নে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে এ ল্যাব দু’টি নির্মিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রযুক্তি খাতের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি খাতকে কাজে লাগিয়ে আমরা এমন কিছু পণ্য দেশ ও বিশ্ববাসীকে উপহার দিতে চাই, যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুরো বিশ্ব একটি প্রযুক্তি নির্ভর মেধাবী জাতি হিসেবে চিনতে পারে। বর্তমানে সারা বিশ্বে ১১ বিলিয়ন ইন্টারনেটে সংযুক্ত ডিভাইস রয়েছে। এটি বেড়ে ২০২৫ সাল নাগাদ প্রায় এক ট্রিলিয়নে পৌঁছাবে। ২০১৯ সালে ইন্টার অব থিংসের (আইওটি) বাজার মূল্য ২০০ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ সালে যা এক দশমিক ছয় ট্রিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে।
‘ক্রমবর্ধমান এই খাতের গুরুত্ব বিবেচনায় রুয়েটে আইওটি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। যেন এই ল্যাবের দ্বারা আমাদের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত পণ্যের মাধ্যমে আমরা বিশ্ব জয় করতে পারি। ’
দেশের ডিজিটাল স্পেসকে নিরাপদ রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাইজেশনের ফলে দেশে দুর্নীতি কমেছে এবং সেবার মান বেড়েছে। একইসঙ্গে ডিজিটল প্রযুক্তির অসচেতন ব্যবহারের ফলে কখনো কখনো জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। যোগাযোগ মাধ্যমের ভুল ব্যবহারের কারণেই এরকম দুঃখজনক ঘটনা ঘটছে। তাই ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তির যথেচ্ছ ব্যবহার না করে সঠিক ব্যবহার করলেই আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। দেশের উন্নয়ন ও সম্ভাবনাকে টেকসই করতে হলে আমাদের ডিজিটাল স্পেসকে নিরাপদ রাখতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মো. সাজ্জাদ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজশাহীর ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক’ প্রকল্পের পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
এসএস/আরবি/