বিশেষজ্ঞদের অনুমানিত তথ্য ছিল উইন্ডোজ ফোন অ্যাপলিকেশন ৫০ হাজার ছুঁইতে সময় লাগবে ২০১২ সাল। কিন্তু নির্ধারিত এই সময়সীমার আগেই এ মুহুর্তে উইন্ডোজ ফোন অ্যাপলিকেশনের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৫০ হাজারে।
তাই বাজারে এখন উইন্ডোজ ফোন অ্যাপলিকেশনের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশী। নির্মাতা সুত্র মতে, এ বছরের নভেম্বর থেকেই নতুন অ্যাপলিকেশন এসেছে স্রোতের গতিতে। গড়ে প্রতিদিন আসা আ্যাপলিকেশনের সংখ্যা প্রায় ২৬৫ টি। তবে উইন্ডোজ ফোনের অনুরুপ আইওএস এবং অ্যান্ড্রুয়েডের বাজার মূল্য যে সময়ে যাচাই করা হয়েছিল তখন মাইক্রোসফট এই অগ্রগতির বিষয়টি জাহির করতে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় এই সংখ্যা ছুঁইতে অ্যান্ড্রুয়েডের সময় লেগেছে ১৯ মাস এবং অ্যাপলের লেগেছে ১২ মাস।
যেটাইহোক বর্তমানে এটাই প্রতীয়মান করছে যে এই কার্যক্রম পক্রিয়া কতোটা তরান্বিত করেছে মাইক্রোসফট । প্রাতিষ্ঠানিক বিবরণ অনুযায়ী এমন সাফল্যের প্রধান কারণ দ্রুত প্লাটফর্মের সম্প্রসারণ অর্থাৎ ১৬ টি দেশ থেকে ৩৫ টি দেশে এটি পৌছোনো। পাশাপাশি নকিয়া ফোনে এটি চালু হওয়ার দিকটিও অন্যতম । যেটি উন্নয়কদের মাঝে আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। তারা আরো জানিয়েছে কিছু অ্যাপলিকেশন কিছু দেশের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে-ইউএস, ইউকে, ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি, ইতালি, অষ্ট্রেলিয়া,সিঙ্গাপুর এবং ইন্ডিয়া।
বর্তমানে বাজারে থাকা অ্যাপলিকেশনের মধ্যে উইন্ডোজ ফোনের ৫৮ , অ্যান্ড্রুয়েডের ৬৯ এবং আইওএস এর ৪৩ ভাগ ফ্রি অ্যাপলিকেশন আছে। তবে বিষ্ময়কর হচ্ছে বাজার মুল্যের হিসাবে অ্যান্ড্রুয়েডের চেয়ে এর অবস্থান ভালো। যেটি ডব্লিউপি ব্যবহারকারী এবং নির্মাতাদের জন্য অবশ্যই একটি আশার প্রতীক।
উল্লেখ্য, এই তথ্যচিত্রে কয়েকটি প্লাটফর্মের মাসভিত্তিক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। যাদের প্রত্যেকেই ৫০ হাজার অ্যাপলিকেশনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে। যাদের মধ্যে আছে আইওএস, ডব্লিউপি, অ্যান্ড্রুয়েড,সিমবিয়ান এবং ব্ল্যাকবেরি।