২০১১ সালে পুরোটা সময় ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের আইসিটি খাতের নানা ঘটনা উত্তাপ ছড়িয়েছে। এ উত্তাপের নেতৃত্ব মিছিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও সামিল ছিলেন।
১. গুগলের সামাজিক সাইট (গুগল +) যাত্রা শুরু করে। প্রাথমিকভাবে সীমিত ব্যবহারকারীর জন্য এ কার্যক্রম শুরু হলেও স্বল্প সময়ের জনপ্রিয়তায় একে সবার জন্য অবমুক্ত করা হয়।
২. বছরের শুরুতে স্যামসাংয়ের সঙ্গে অ্যাপল এবং আইফোন ও আইপ্যাডের ডিজাইন নকল করার অভিযোগ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এর ফলে ইউরোপ, জার্মান এবং নেদারল্যান্ডের বেশ কিছু দেশ স্যামসাং ট্যাবের বিক্রি বন্ধ করে দেয়।
৩. বিশ্বের জনপ্রিয় ভিওআইপি সেবা স্কাইপকে ৮০ লাখ ৫৬ হাজার ডলারে কিনে নেয় মাইক্রোসফট। মূলত মোবাইল প্ল্যাটফার্মে গুগল এবং অ্যাপলের দম্ভচূর্ণ করতে মাইক্রোসফট এ উদ্যোগ নেয়।
৪. এশিয়াসহ অন্য সব দেশের মধ্যে ২০১১ সালের সর্ববৃহৎ আয়োজন ছিল ভারতে ‘আকাশ’ ট্যাবলেট পিসির উন্মোচন। শিক্ষার্থীদের জন্য মাত্র ৩৫ ডলার এবং সাধারণের জন্য ৬০ ডলার মূল্যের এ ট্যাবলেট উদ্বোধন করেন ডাটা উইন্ড নামে লন্ডনের একটি আইটি প্রতিষ্ঠান। এর সঙ্গে সহযোগিতায় ছিল রাজস্থান ভারতের আইআইটি শিক্ষার্থী।
৫. অপারেটিং সিস্টেম উনন্ডোজ৮ সংস্করণের ঘোষণা আসে। এটি পিসি ব্যবহারকারীদের জন্য বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন।
৬. গ্যালাক্সি স্মার্টফোন এস২ বিশ্ববাজারে আসে। ২০১১ সালে স্যামস্যং পক্ষে এটি ছিল বিশেষ চমক। এটি বিশ্ববাজারে সর্বোচ্চ স্মার্টফোন বিক্রির রেডর্ক ভেঙ্গে শীর্ষে উঠে আসে।
৭. আইফোন ৫ বাজারজাত করন। অ্যাপেলের ৫ম জেনারেশনের এই ফোনে একই সঙ্গে সংযোজিত করা হয় ইন্টারনেট কমিউনিকেটর। মোবাইল ফোন, প্রশ্বস্ত টাচ স্ক্রিন। এছাড়া বাড়তি সুবিধা তো আছেই। বছরের শেষ কোয়ার্টারে ভারতসহ ৭টি দেশে এই পণ্য বাজারজাত করা হয়।
৮. স্মার্টফোনের টপচার্টে নকিয়াকে হারিয়ে স্যামসাং স্মার্টফোনের শীর্ষে আসে। বাজারে ১৫ বছর রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে নকিয়ার অবস্থান তৃতীয়তে নেমে আসে। প্রথম স্থানে স্যামসাং এবং দ্বিতীয় হয় অ্যাপল।
৯. বিশ্বের কোটি কোটি ভক্তকে অশ্রুসিক্ত করে অ্যাপল পিতা স্টিভ পল জবসের চির বিদায়ে হতাশ হয় অ্যাপলপ্রেমীরা। এ শোক কাটতে না কাটতেই চলে যান যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত কমপিউটার বিজ্ঞানী ডেনিস রিচি। সি প্রোগামিং ল্যাগুয়েজের জনক এবং ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেমের উদ্ভাবক এ বিজ্ঞানী চিরঅমর হয়ে থাকবেন বিশ্ব গ্রোগ্রামারদের কাছে।
১০. এ বছরই গুগল তার সেবায় নিত্যনতুন ছন্দ যুক্ত করে। জিমেইল, ইউটিউব, অ্যাডওয়ার্ড, অ্যাডসেন্স, অ্যাপস ছাড়াও অন্য সব সেবাকে একত্রিত করে নতুন করে সুসজ্জিত করা হয়। এটি গুগল+ এর সঙ্গে সামাজস্যপূর্ণ।
১১. গুগল অ্যানড্রইডের অপারেটিং সিস্টেম ল্যাগুয়েজ জটিলতার এ বছর ওরাকেলের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে জড়ালেও পরে এতে দফারফা করে গুগল।
১২. জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্ক ফেসবুকেও পরিবর্তন এসেছে। ২০১১ সালে এর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। নতুনভাবে যুক্ত হয় সাবসক্রাইবার বাটন। এ ছাড়াও ডিজাইন এবং অবয়বেও আসে নতুনমাত্রা।
১৩. ২০১১ সালে পুরোটা সময়জুড়েই আলোচনার তুঙ্গে ছিল টুইটার। এ বছর টুইটারের মাধ্যমে সামাজিক নেটওয়ার্ক সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ এবং আবেদন তৈরি করেছে। হয়েছে। জনপ্রিয়তা শীর্ষে আসে ফটোশেয়ারিং সেবাও।
বাংলাদেশ সময় ১৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১১