এ বছরের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি হলো। স্বাধীনতার এ অর্জনকে সফল করতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সম্মিলনের আয়োজন করা হয়।
এর মধ্যে বৃহৎ আয়োজনের ই-এশিয়াও আছে। বাংলাদেশে প্রথমবার আয়োজিত এ সম্মেলন সফল হয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় পরিচালিত অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট আয়োজকেরা।
স্বাধীনতার ৪০ বছর উদযাপনে এ আসরটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। এ ছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ আয়োজনের মধ্যে আচে বিসিএস আইসিটি ওয়ার্ল্ড২০১১, ডিজিটাল আইসিটি কেয়ার, সিটিআইটি ছাড়াও ঢাকার বাইরের আয়োজন।
এ আয়োজনের অন্যতম প্রাপ্তি হলো ৪০ বছর ছাড়াও ২০১১ সালে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশে অর্জনসহ ভবিষ্যৎ উন্নতির দিকনির্দেশনা। বিশেষজ্ঞরা যেমন দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন বিষয়ে উন্নয়নগুলোর প্রশংসা করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের চ্যালেঞ্জগুলো ছিল আলোচনায়। এগুলো মোকাবেলার সুনির্দিষ্ট সুপারিশও করা হয়। ২০১১ সালে এগুলো অন্যতম অর্জন। এ প্রস্তাবিত উদ্যোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে ২০১২ সালকে আরও সফল করা সম্ভব।
বাংলাদেশে নব্বইয়ের দশক হতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। ১৯৯৮ সালের কমপিউটারের ওপর সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতি দেশের এ বাজার প্রসারে সহযোগিতা করবে। ধীরে ধীরে কমপিউটার ব্যবসার সঙ্গে প্রসার ঘটে দেশি সফটওয়্যার শিল্প এবং টেলিকম তথা ইন্টারনেট এবং মোবাইল প্রযুক্তির।
গত কবছরে অন্য দু খাতকে ছাপিয়ে আশাতীত উন্নয়ন ঘটে দেশের টেলিকমে। এ খাতটি দেশের তথ্যপ্রযুক্তিতে অনেকটাই এগিয়ে নিয়েছে। টেলিকম, হার্ডওয়্যার এবং প্রযুক্তি শিল্পসেবায় ই-গর্ভন্যান্স এবং প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহারে নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণ ২০১১ সালে তথ্যপ্রযুক্তির জন্য মাইলফলক।
২০১২ সাল ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকারের চতুর্থ বছর হবে। যৌক্তিকভাবে এ সালটি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে তাই ২০১১ সালের অর্জনগুলোর তুলে ধরা হলো:
হার্ডওয়্যার শিল্প :.
বাংলাদেশে হার্ডওয়্যার এবং নেটওয়ার্ক বাজার দেশের মোট প্রযুক্তিবাজারের ৬১ ভাগ। এর বাণিজ্যিক মূল্য ৩০ কোটি (প্রায়) ডলার। সুতরাং প্রযুক্তি বাজারের সিংহভাগই এ খাতের দখলে। কিন্তু দেশে নিজস্ব উৎপাদন সুবিধা না থাকায় এ বাজারটি সম্পূর্ণভাবে আমদানিনির্ভর।
যদিও ২০১১ সালে এ বাজারেই এসেছে দেশীয় ল্যাপটপ ‘দোয়েল’ এবং ‘বিজয়’। এটা অবশ্যই সম্ভাবনার বার্তা। স্বল্পমূল্যে প্রযুক্তিপণ্য ক্রয় সুবিধা এ খাতকে দ্রুতই সমৃদ্ধ করবে। এ বছর বাংলাদেশের এ খাতে উল্লেখযোগ্য অর্জন হচ্ছে এখানে স্যামস্যাংয়ের গবেষণা এবং উন্নয়নে সেন্টার স্থাপন। বিশ্বের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে এটাই প্রথম আইসিটি স্থাপনা।
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতে পরে এটি স্যামস্যাংয়ের দ্বিতীয় গবেষনা কেন্দ্র। ঢাকার গুলশানের উদয় টাওয়ারে অবস্থিত এ কেন্দ্র থেকে শুধু বাংলাদেশের ক্রেতাবান্ধব করা হবে তা নয়। এর মাধ্যমে এশিয়াসহ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়াতেও স্যামসাং সেবা প্রদান করা হবে।
এ পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ছয় শতাধিক ৬০০ তরুনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরা দেশের নামকরা ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী। এরা স্যামসাং বাংলাদেশের হয়ে কাজ করছে দক্ষিণ কোরিয়াসহ অন্য সব দেশে। ২০১৩ সালে এ সংখ্যা ছয়শ থেকে এক হাজার করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। দেশের আইসিটি খাতের চাকরি বাজারে এ অবদান ২০১১ সালের অন্যতম সফলতা।
এ বছর দেশের পণ্য বাজারের শীর্ষ আলোচনায় ছিল বহুমাত্রিক মডেলের ল্যাপটপ, নোটবুক এবং বছরের শেষভাগে জনপ্রিয়তায় আসা আলট্রাবুক। এ ছাড়াও স্মার্টফোনে এসেছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২।
দেশের বাজারে পণ্য বিপণনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে বেড়েছে আইসিটির বিদেশি বিনিয়োগ। এ বছর এমডি, ইন্টেল, ডেল, আইবিএস ছাড়াও এইচপির মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ সফরে এ বিনিয়োগ সুনিশ্চিত হয়েছে।
২০১১ সালের শুরুতে আইবিএম বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথপ্রকল্পে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ২০ হাজার ৫০০টি ল্যাপটপ এবং প্রজেক্টর সরবরাহ করার ঘোষণা দেয়। একই াবে ইন্টেলের ওয়াল্ড অ্যাহেড প্রকল্পের আওতায় ক্লাসমেট পিসির কার্যক্রমের প্রতিশ্রুতিও করা হয়।
এ ছাড়াও ডিজিটাল ক্যাম্পাস এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বল্পমূল্যে প্রযুক্তিপণ্য প্রদানে এগিয়ে এসেছে বেসরকারি পণ্য ব্যবসায়ীরা। এ উদ্যোগ প্রশংসাযোগ্য। ২০১১ সালে ল্যাপটপের ন্যূনতম বাজার মূল্য হয়েছে ২৩ হাজার। বছরের শুরুতে পণ্য মূল্যের তুলনায় বছরের শেষে পণ্যের দাম কিছুটা বাড়তি। সঙ্গে বেড়েছে ক্রেতা সংখ্যাও।
সফটওয়্যার :.
বাংলাদেশে মোট প্রযুক্তিপণ্য বাজারের ১৯ ভাগ হচ্ছে সফটওয়্যার এবং আইটিকেন্দ্রিক সেবা। দেশের বাজারের সফটওয়্যার শিল্পে এ মুহূর্তে ৮০০টি প্রতিষ্ঠান বিশ্বের ৩০টি দেশে তাদের পণ্যসেবা রপ্তানি করছে। এর মূল্যমান ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
২০১১ সালে এ প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রত্যাশিত। ২০১১ পর্যন্ত এ খাতে ৩০ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে। সুতরাং দেশের চাকরি বাজারে এ অবদান গুরুত্ব বহন করে। বিশ্বের অন্যতম পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গার্টনারের মতে, ২০১০ সালে বাংলাদেশ আউসোর্সিংয়ে সম্ভাবনাময় ৩০টি দেশের তালিকাভুক্ত হয়। কিন্তু বছরের শেষে এ অবস্থান একেবারে শীর্ষ তিনে চলে আসে।
২০১১ সালে সফটওয়্যার খাতে এটি হচ্ছে অন্যতম অর্জন। দেশের সফটওয়্যার খাতে আয়ের ৩০ ভাগই আউটসোর্সিং থেকে আসে বলে বেসিস জানিয়েছে। অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের সমস্যাসহ ইন্টারনেটের সহজলভ্যাতায় এ খাতে আরও বেশি অর্জন সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন।
এ ছাড়া দেশে অবৈধ সফটওয়্যারে ব্যবহারের হার ২০০৯ সালে ৯১ ভাগ, ২০১০ সালে ৯০ ভাগ এবং ২০১১ সালে ৮৮ ভাগে কমে এসেছে। বর্তমান সরকার ২০১১ সালে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইন প্রণয়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে।
গার্টনারের তথ্য মতে, বাংলাদেশে সফটওয়্যার খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে এটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ২০১১ সালে এ পরিসংখ্যানে উৎসাহিত হয়ে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি সফটওয়্যার বাজারজাত উন্নয়নসহ প্রশিক্ষণে বিশাল বাজেট ঘোষণা করেছে বিখ্যাত আইবিএম এবং হুয়াওয়ে।
এ বিনিয়োগের ফলে এ খাতে বিপুল কর্মসংস্থান ছাড়াও নাগরিক সুবিধা বাড়বে। এখন হুয়াওয়েতে কাজ করছেন ৬৫০ জন বাংলাদেশি। দেশের সফটওয়্যার বাজারে আরেকটি বড় সংযোজন হচ্ছে মোবাইল সেবা সংক্রান্ত সফটওয়্যার প্রস্তুত ও বাজারজাতকরণ।
এ খাতে গ্রামীণফোন ২০১১ সালে তাদের আইটি অপারেশন শুরু করেছে ‘জিপিআইটি’ দিয়ে। এ ছাড়া সরকারি উদ্যোগে তথ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বেশ কিছু সফল প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
এর মধ্যে আছে ই-তথ্য কোষ। এ ছাড়া সরকারি মন্ত্রণালয়ের তথ্যভিত্তিক ওয়েবসাইট ছাড়াও ই-বুক সেবাও আলোচিত হয়। ২০১১ সালে সরকারের সবচে বড় অর্জন বলতে দেশব্যাপী ৪৫০১টি ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন।
এ কেন্দ্রগুলো থেকে তৃণমুল পর্যায়ে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করা হয়। যা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অন্যতম উদ্যোগ। এ ছাড়াও ই-গর্ভন্যান্সের লক্ষ্যে সরকারি কার্যক্রমে সংযোজিত হয়েছে বিভিন্ন দেশি সফটওয়্যার।
বাংলাদেশে সফটওয়্যারের স্থানীয় বাজার বাড়াতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত হয়েছে। এটি সুসংবাদ। এ ছাড়া দেশেই নিজস্ব সফটওয়্যারের ব্যবহার বেড়েছে। অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের বাজার বাড়তি। এ খাতে ক্যাসপারস্কি বাংলাদেশ অর্জন করেছে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার।
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ :.
২০১১ সালে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা এবং বাংলাদেশে কারিগরিসহ ইংরেজি ভাষা শিক্ষার প্রসার হয়েছে। এ বছর নিবন্ধিত সরকারি-বেসরকারি কমপিউটার প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠানে সংখ্যা দাড়িয়েছে দেড় হাজার।
এ ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ২০১১ সালে সরকারের এটুআই প্রকল্পের আওতায় গ্রহণ করা হয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা। দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সালে সিএসির সঙ্গে খোলা হয়েছে বেশ কিছু নতুন বিষয়। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথউদ্যোগে দেশি বিশ্ববিদ্যালয় ই-লার্নিং এবং মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম জনপ্রিয় হয়েছে।
আগামীর প্রত্যাশায় :.
এ বছরের অপূর্ণ উদ্যোগুলো আগামী বছরকে আরও বেশি সফল করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। এ বছর ল্যাপটপ ‘দোয়েল’ বাজারে এসেছে। এটি ২০১২ সালে ব্যাপক বাজার পাবে। এ ছাড়াও মোবাইল ফোনে থ্রিজি প্রযুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এবং মার্চ ২০১২ সালে যদি এর বাণিজ্যিক যাত্রা হয় তাহলে এ খাতে বৈপ্লবিক অগ্রগতি অর্জিত হবে।
এ ছাড়া মোবাইল সেবায় নকিয়া ফোনে বাংলা কিবোর্ড বাধ্য করা হলে এটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবন মানোন্নয়নে সহায়ক হবে। দোয়েলকে ক্লাসমেট পিসি হিসেবে শিক্ষাখাতে ব্যবহার এবং ই-বুকের জন্য ইন্টারনেটকে সহজলভ্য করতে পারলে এ পদক্ষেপগুলো কার্যকর হবে।
আউটসোর্সিংয়ে আয় বাড়লে মানবসম্পদের মানোন্নয়ন হবে। ইংরেজি ভাষার প্রশিক্ষণসহ স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতে গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি যৌথউদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।
দেশি সফটওয়্যার দেশের বাজারে বিক্রির জন্য ক্রয়বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। এ জন্য ক্রেতা-বিক্রেতার সহযোগী হতে হবে। বর্তমান সরকারের ভিশন২০২১ সফলের জন্য ২০১২ সাল একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর।
সরকারি ওয়াদা অনুযায়ী আউটসোর্সিংয়ের জন্য যেমন পেপল সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যদিকে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রসারে মোবাইল অপারেটদের সিমট্রাক্স ছাড়াও লাইসেন্স নবায়ন ফির বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।
এ ছাড়া দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বিটিএলকে দিকনির্দেশনামূলক তদারকির মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবাকে সহজলভ্য করতে হবে। থ্রিজি লাইসেন্সের জটিলতা এড়িয়ে যত দ্রুত সম্ভব এর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
এ উদ্যোগ দেশের বাজারকে আন্তর্জাতিকভাবে সমৃদ্ধ করবে। দেশের অভ্যন্তরীণ সব তথ্যপ্রযুক্তি কর্মকান্ডকে সম্মিলিতভাবে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে সম্প্রচার করে ইমেজ সংকট কাটাতে হবে।
দেশের আইসিটি অর্জনগুলোর ইতিবাচকভাবে তুলে ধরে বিদেশি গণমাধ্যমে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে হবে। এর ফলে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিপুল বিনিয়োগে হতে পারে। ২০১১ সালে অর্জন এবং পর্যালোচনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ২০১২ সালকে তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নের বছর হিসেবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিলেও একটি সমৃদ্ধ আইসিটিনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময় ২১৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১১