ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে একসাথে গ্রামীণফোন-বিদ্যানন্দ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে একসাথে গ্রামীণফোন-বিদ্যানন্দ গ্রামীণফোন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠান

ঢাকা: বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের সংকটকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে গ্রামীণফোন এমপ্লয়িরা ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।

গ্রামীণফোন এমপ্লয়িরা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আসন্ন ঈদুল আজহায় ৩১ হাজারেরও বেশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে ঈদের বিশেষ খাবার দেবেন।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গ্রামীণফোন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈশ্বিক মহামারি নিম্ন-আয়ের জনগোষ্ঠীকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং এ পরিস্থিতি তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য ও পুষ্টি প্রাপ্তির বিষয়টিও কঠিন করে তুলেছে। আসছে ঈদে গ্রামীণফোন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগ ‘গ্রামীণফোন ঈদের খুশি’ উদ্যোগের মাধ্যমে এসব মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারবে বলে বিশ্বাস করে। ক্ষতিগ্রস্ত এ জনগোষ্ঠীর মুখে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে গ্রামীণফোনের এমপ্লয়িরা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশানের সহায়তায় উৎসব ভাতার একটি অংশ দিয়ে ৩১ হাজারেরও বেশি মানুষের জন্য ঈদের বিশেষ খাবারের আয়োজন করবেন।

প্রতিষ্ঠান দুটি মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে ভার্চ্যুয়াল এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভীর হুসাইন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান কিশোর দাস।

এছাড়া গ্রামীণফোন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক, হেড অব কমিউনিক্যাশন খায়রুল বাশার এবং লিড স্পেশালিষ্ট সাসটেইনেবিলিট হাফিজুর রহমান খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান কিশোর দাস বলেন, আয় কমে যাওয়া, চাকরি হারানো, দোকান ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকা এবং আয়ের পথ পুরোপুরি বন্ধ হওয়া সহ নানাভাবে কোভিড-১৯ দেশের অধিকাংশ মানুষের মারাত্মক ক্ষতি করেছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবারের জোগান পেতে অধিকাংশ দরিদ্র মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ দুর্দশাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকার ধারাবাহিকভাবে তাদের নানা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সহায়তায় ইতিমধ্যেই বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে গ্রামীণফোন। এ সঙ্কটকালীন সময়ে মানুষকে সহায়তা ও তাদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে গ্রামীণফোনের সাথে এ উদ্যোগে যুক্ত হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।

উদ্যোগের মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, কুড়িগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ির ৩১ হাজারের বেশি মানুষের মাঝে ঈদের বিশেষ খাবার সরবরাহ করা হবে। খাবার সরবরাহের এ পুরো বিষয়টির তত্ত্বাবধানে থাকবে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এ বিশেষ খাবার সরবরাহ প্রক্রিয়া শুরু হবে ঈদের দিন থেকে এবং যা চলতে পারে ৩ আগস্ট পর্যন্ত।

এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভীর হুসাইন বলেন, ঈদের তাৎপর্য হলো ত্যাগের মহিমা নিয়ে সবার মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়া। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে গ্রামীণফোন পরিবারের সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ উদ্যোগের সাথে যুক্ত হয়েছে; বিষয়টি অত্যন্ত আনন্দের। ঈদের সময় বিশেষ খাবার সরবরাহের মাধ্যমে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মাঝে উৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে আমাদের এ উদ্যোগে অংশীদার হওয়ার জন্য বিদ্যানন্দকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

ঈদের খুশি ছড়িয়ে দিতে গ্রামীণফোনের এমপ্লয়িরা বিদ্যানন্দকে ৪৬ লাখ ২০ হাজার ৮৫৬ টাকা দিয়েছে। এছাড়াও কোভিড-১৯ সহায়তা কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নানা উদ্যোগ নিযেছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে মানবতার পাশে থাকবে গ্রামীণফোন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।