ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ইমোর ক্যাম্পেইন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২১
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ইমোর ক্যাম্পেইন ‘সেলিব্রেট লাইফ টুগেদার’ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে ইমো

ঢাকা: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে অগ্রগামী করতে সম্প্রতি ‘সেলিব্রেট লাইফ টুগেদার’ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে ইমো। এটি ২০২১ সালে ইমোর প্রথম ক্যাম্পেইন এবং এর মাধ্যমে এমন কিছু মানুষের গল্প ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে সামনে নিয়ে আসা হবে যারা ইমো ব্যবহার করে জীবনযাত্রার মান উন্নত করার পাশাপাশি নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করেছেন।

এছাড়াও ক্যাম্পেইনটির আরেকটি উদ্দেশ্য হলো সব ধরনের মানুষকে তাদের অনুপ্রেরণামূলক গল্প শেয়ার এবং ইমোর সঙ্গে তাদের জীবনকে উপভোগ করতে উৎসাহিত করা।
 
প্রথম গল্প হিসেবে ইউটিউবে, https://youtu.be/cRAluc8QtFE, মেঘার গল্প দেখা যাবে। ২৬ বছর বয়সী তরুণী মেঘা ইমোর মাধ্যমে কিভাবে তার ক্যারিয়ার নতুন ভাবে শুরু করে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছেন, সেটি উঠে এসেছে এই ভিডিওর মাধ্যমে। এছাড়াও পুরো বছর জুড়ে দেখানো হবে আরও কিছু নতুন মানুষের সফলতার গল্প।

গত মার্চ থেকে কোভিড-১৯ এর পুরো সময়জুড়ে অনেক মানুষ যখন চাকরি হারিয়েছেন, তখন মেঘা প্রতিমাসে প্রায় ৩ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেছেন। শুরুতে তার ধারণা ছিলনা ইমোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা সম্ভব। প্রথমে তার একজন বন্ধুর আহ্বানে তিনি কয়েকটি ইমো গ্রুপে যুক্ত হন। তবে শিক্ষাভিত্তিক একটি গ্রুপে যুক্ত হওয়াটি ছিল তার জীবনের মোড় ঘোড়ানো মুহূর্ত। তিনি মন্ত্রমুগ্ধের মতো প্রতিদিন নতুন জিনিস শিখতে থাকেন এবং প্রথমদিকের একজন ইমো হোস্ট হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এখন মেঘা প্রতিদিন প্রায় ৭৫টি গ্রুপ সক্রিয়ভাবে পরিচালনা করেন। তার সবচেয়ে বড় গ্রুপটিতে ৭৮ হাজার এর অধিক এবং সবচেয়ে ছোট গ্রুপটিতে প্রায় ২২ হাজার সদস্য রয়েছে। এখন তিনি অন্যদেরও বিভিন্ন গ্রুপে সংযুক্ত হতে এবং নিজের গ্রুপ তৈরি করতে উৎসাহিত করছেন।
 
মেঘা বলেন, ‘আমি ইমোকে শুধুমাত্র একটি ম্যাসেজিং এবং কলিং অ্যাপ হিসেবে সীমাবদ্ধ করে রাখব না। আমি বরং বলবো সীমাহীন সুযোগ এই অ্যাপে অপেক্ষা করছে। এটি আমাকে জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করে আসছে এবং আমি বিশ্বাস করি এটির মাধ্যমে অনেকের জীবন পরিবর্তন করা সম্ভব, বিশেষ করে নারী এবং গৃহিনী যারা সাধারণত বাসার বাইরে খুব একটা বের হননা। ’

ইমোর ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টোফার হিউ বলেন, ‘ইমোতে আমরা মানুষকে সংযুক্ত করতে এবং তাদের জীবনমান উন্নত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা গর্বিত যে ইমো ব্যবহারকারীরা এটিকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ বানাচ্ছেন এবং তাদের জীবনের অর্জনে ইমো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ’

ইনস্ট্যান্ট কমিউনিকেশন মাধ্যম হিসেবে ২০২০ সালে ইমো ব্যবহারের সংখ্যা রেকর্ড ছুঁয়েছে। বাংলাদেশিরা প্রায় ৯ হাজার ৬৮০ কোটি ম্যাসেজ এবং ২ হাজার ৬০০ কোটি অডিও ও ভিডিও কল ইমোর মাধ্যমে করেছেন। এছাড়াও ইমো স্থানীয়করণ এবং শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে ২০২০ সালে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের অডিও ও ভিডিও কলে প্রায় ১৫ কোটি গিগাবাইট ডাটা বাঁচিয়েছে।
 
ইনস্ট্যান্ট কমিউনিকেশন মাধ্যম ছাড়াও ইমো মাইপ্ল্যানেট কন্টেন্ট ফিড, ভয়েসরুম এবং গেমস ইত্যাদির মতো ইন্টারঅ্যাকটিভ ফাংশন তৈরি করেছে যেখানে মানুষ তাদের আগ্রহের বিষয় জানাতে পারেন, প্রতিভার বিকাশ এবং জীবনের নতুন নতুন সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে পারেন।  
#CelebratelLifetTogether -এ জয়েন করতে চাইলে একজন ইউজার ইমো নিয়ে তার মৌলিক গল্প ক্যাম্পেইনের হ্যাশট্যাগ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং ইমোর মাইপ্ল্যানেটে শেয়ার করতে পারেন।  

ইমো একটি বিশ্বব্যাপী ইন্সট্যান্ট যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের মানুষের সঙ্গে অন্য প্রান্তের মানুষ অডিও কল, ভিডিও কল, গেমস বা মাল্টিমিডিয়া ইত্যাদি সুবিধার মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারেন। ইমোর উন্নত যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৫০টিরও বেশি দেশে ৬২ ভাষায় ২০ কোটিরও বেশি মানুষ তাদের বন্ধু, পরিবার বা বিভিন্ন কমিউনিটিতে সফলভাবে যোগাযোগের পাশাপাশি জীবনের নানা আয়োজন ভাগাভাগি করে নিতে পারছেন।  

এখন অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস যুক্ত ফোনে বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাচ্ছে ইমো। ইমো: https://imo.onelink.me/RAdY/2449a1f6      

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।