আন্তর্জাতিক প্রাইভেসি দিবস (২৮ জানুয়ারি) উপলক্ষে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা রক্ষায় নতুন আইন ও নীতিমালা তৈরির আহ্বান জানানো হয়। উন্নয়ন গবেষণা সংগঠন ‘ভয়েস’ এ আহ্বান জানিয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি সংগঠন দ্বারা ব্যক্তি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, প্রচার এবং প্রয়োগে ব্যক্তির সর্বাধিক নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কিভাবে সুনিশ্চিত করা যায় এ বিষয়ে তথ্য সংরক্ষণ নীতিমালা প্রণয়নে জোরালো দাবি জানানো হয়।
ব্যক্তির স্বাতন্ত্রবোধ এবং মর্যাদা আইন দ্বারা সংরক্ষণ হওয়া উচিত। আড়িপাতা এবং যে কোনো ধরনের নজরদারি মানবাধিকার বিরোধী কার্যক্রম। সরকারের উচিত সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে মিল রেখে নতুন আইন তৈরি করা। এ ছাড়াও তদারকির জন্য ‘প্রাইভেসি কমিশন’ গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
ব্যক্তি গোপনীয়তার অধিকার রক্ষার্থে এবং তথ্য গোপনীয়তার অধিকার নিশ্চিতে বিরোধপূর্ণ যে কোনো আইন বাতিল এবং সংশোধন করতে হবে। এ মুহূর্তে তথ্য অধিকার আইন দ্বারা ব্যক্তির তথ্য পুরোপুরি সংরক্ষিত হয় না। ব্যক্তিতথ্য সংগ্রহের সীমা আইন দ্বারা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যক্তির অধিকার সুনিশ্চিত করে।
তথ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়া করার আগে কোন তথ্যটি কেন, কি উদ্দ্যেশে সংগ্রহ করা হচ্ছে তা অবশ্যই শনাক্ত করতে হবে। স্বাভাবিক সময়ে বা বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া ব্যক্তিতথ্য অবশ্যই ব্যক্তির সম্মতিতে সংগ্রহ করা উচিত।
সরকারের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং মোবাইল অপারেটররা ব্যক্তিতথ্য সংরক্ষণ করে। এ প্রক্রিয়ায় গোপনীয় নীতি এবং সরকারের স্বচ্ছতা থাকা উচিত। তথ্য সংরক্ষণ নীতিমালা তৈরি, স্বাধীন প্রাইভেসি কমিশন গঠন এবং ব্যক্তিতথ্য সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণ করার দাবি জানানো হয়।
ডাটা প্রাইভেসি দিবস :.
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ২০০৮ সালে প্রথম ‘ডাটা প্রাইভেসি দিবস’ পালিত হয়। ২০০৯ সালে আমেরিকায় ‘দ্য হাউজ অব কমনস’ এবং সিনেট ২৮ জানুয়ারি ‘ব্যতিথ্য গোপনীয়তার অধিকার’ দিবস হিসেবে পালনে একটি প্রস্তাব পাশ হয়। প্রতি বছরের মতো এ বছরও এশিয়া ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাইভেসি দিবস পালন করা হয়।
বাংলাদেশ সময় ১৮২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১২