ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

হাজারের অধিক পশু বিক্রি ডিজিটাল হাটে

শাওন সোলায়মান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২১
হাজারের অধিক পশু বিক্রি ডিজিটাল হাটে

ঢাকা: আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইনে পশু কেনার প্ল্যাটফর্ম ডিজিটাল হাটে এক হাজারের বেশি পশু বিক্রি হয়েছে। এছাড়া পশু কোরবানি করে কাটা মাংস তথা স্লটারিং প্রসেস করা মাংস ডেলিভারি নিতে বুকিং পড়েছে ২৬৪টি।

মোট বিক্রিত পশুর আর্থিক মূল্য দুই হাজার ২০৬ কোটি ৬২ লাখ ৪৩ হাজার ৬৫৮ টাকা।

সোমবার (১৯ জুলাই) ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) পক্ষ থেকে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

আসন্ন ঈদে কোরবানির পশু কিনতে হাটে যাওয়ার বদলে অনলাইনে কেনার সুযোগ করে দিয়ে চালু হয় ‘ডিজিটাল হাট’। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ, বাংলাদেশ দুগ্ধ খামারি অ্যাসোসিয়েশন এবং ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে অনলাইনভিত্তিক এ হাটের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।

করোনা প্রাদুর্ভাবের সময় ২০২০ সালে এ হাট চালু হলেও সেটি সক্রিয় আছে এবছরও। গেল ৪ জুলাই ঢাকাবাসীর জন্য এ হাটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। আর গেল ১৩ জুলাই পুরো দেশের প্রেক্ষাপটেই হাটের উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনের পর থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত ডিজিটাল হাটে সরাসরি মোট এক হাজার ৫৯টি পশু বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে গরু ও মহিষ ৭২৭টি এবং ছাগল ও ভেড়া ৯৬টি। এগুলোর মধ্যে স্লটারিং সেবা নিতে বুকিং পড়েছে ২৬৪টি পশুর জন্য। এগুলোর মধ্যে এস্ক্রো সেবা তথা ক্রেতা পশু বুঝে পেলে বিক্রেতা তার টাকা বুঝে পাবেন এমন শর্তে পশু বিক্রি হয়েছে ২৩টি।

তবে, ডিজিটাল হাটে সরাসরি বিক্রি হওয়ার বাইরেও সারাদেশে এ প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে ১৭ জুলাই পর্যন্ত পশু বিক্রি হয়েছে তিন লাখ ১৮ হাজার ৫০৭টি। এগুলোর মধ্যে গরু ও মহিষ দুই লাখ ৪৪ হাজার ৯১০টি এবং ছাগল ও ভেড়া ৭৩ হাজার ৫৯৭টি। এসব পশুর মোট আর্থিক মূল্য দুই হাজার ২০৬ কোটি ৬২ লাখ ৪৩ হাজার ৬৫৮ টাকা।

ই-ক্যাব সূত্রে জানা যায়, ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ডিজিটাল হাটে সরাসরি পশু বিক্রি বেড়ে যায় প্রায় দ্বিগুণ। গেল ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্ল্যাটফর্মটিতে সরাসরি বিক্রিত পশুর পরিমাণ ছিল ৫৬১টি। এর পরের দুই দিনে অর্থ্যাৎ ১৭ জুলাই এসে সেই সংখ্যা সহস্রাধিক হয়ে গেছে। এছাড়া চলতি ঈদ মৌসমে ডিজিটাল হাট প্ল্যাটফর্মে ৫৩৪টিরও বেশি ইনবাউন্ড কল তথা আগ্রহী ক্রেতারা ফোন করেছেন। অন্যদিকে, ডিজিটাল হাট থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে আউটবাউন্ড কল হয়েছে ১৭০টিরও বেশি। অন্তত এক লাখ মানুষ এ সময়ে অনলাইনে ‘ডিজিটাল হাট’ র ওয়েবসাইট পরিদর্শন করেছেন।

এবছর ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের পক্ষ থেকে দারুণ সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানান ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল। এছাড়া মঙ্গলবারের (২০ জুলাই) মধ্যে বিক্রিত পশুর ডেলিভারি ও সম্পন্ন হবে বলে তিনি জানান।

বাংলানিউজকে তমাল বলেন, আমাদের এবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ডিজিটাল হাট থেকে প্রায় এক লাখ পশু বিক্রির। সেই তুলনায় দারুণ সাড়া পেয়েছি। এরই মধ্যে তিন লাখের বেশি পশু বিক্রি হয়েছে। আর আমাদের মাধ্যমে সরাসরি যে পশুগুলো বিক্রি হয়েছে তার বেশিরভাগই গ্রাহকদের কাছে ডেলিভারি করা হয়েছে। ডেলিভারি প্রক্রিয়া চলমান আছে। কালও নতুন কিছু পশু আসবে। আর যারা স্লটারিংয়ের জন্য বুকিং দিয়েছেন তাদের মাংসও কোরবানির পর দ্রুতই ডেলিভারি করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২১
এসএইচএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।