ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ছবি তোলার প্রযুক্তিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে অপো

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২১
ছবি তোলার প্রযুক্তিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে অপো

ঢাকা: আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরাসহ প্রযুক্তি খাতের অভিনব সব ইনোভেশন নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল অপোর ‘ফিউচার ইমেজিং টেকনোলজি-২০২১’।  

গ্লোবাল স্মার্ট ডিভাইস ব্র্যান্ড অপো অনলাইন এ ইভেন্ট আয়োজন করে যেখানে সেন্সর, মডিউল ও অ্যালগরিদমের মতো স্মার্টফোন ইমেজিং টেকনোলজির নতুন নতুন বিষয় সবার সামনে তুলে ধরা হয়।



স্মার্টফোনের মাধ্যমে মানুষ সহজে যাতে চারপাশের সৌন্দর্যকে ধারণ করতে পারে সে লক্ষ্যে ছবি ধারণের এসব প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।  

অপো প্রদর্শিত প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে পরবর্তী প্রজন্মের আরজিবিডব্লিউ সেন্সর, ৮৫-২০০ মিলিমিটার (মিমি) কনটিউনিয়াস অপটিক্যাল জুম, ফাইভ-এক্সিস ওআইএস টেকনোলজি, আন্ডার স্ক্রিন ক্যামেরা এবং বেশকিছু এআই অ্যালগরিদম। ভবিষ্যতে এসব উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহারে অপোর ফোনগুলোতে ছবি তোলার ক্ষেত্রে লাইট-সেনসিটিভিটি, জুম ক্যাপাবিলিটি, স্টাবিলাইজেশনসহ নানা সুবিধা পাওয়া যাবে।  ইভেন্টে অপো উদ্ভাবিত নানা প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। অপোর পরবর্তী প্রজন্মের আরজিবিডব্লিউ সেন্সর ক্যামেরায় প্রচলিত রেড, গ্রিন, ব্লু (আরজিবি) এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে অতিরিক্ত হোয়াইট সাব পিক্সেল (ডব্লিউ) যার ফলে বেড়েছে পিক্সেলের লাইট-সেনসিটিভিটি। ক্যামেরায় আরো আনা হয়েছে ডিআইটি প্রযুক্তি এবং অপোর ৪-ইন-১ পিক্সেল অ্যালগরিদম। এসব প্রযুক্তি সংযোজনের ফলে নিউ সেন্সর আগের সেন্সরের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি লাইট বেশি ধারণ করতে পারে। আর ৩৫  শতাংশ পর্যন্ত নয়েজ দূর করতে পারে। ফলে অল্প আলোতে বা রাতের বেলাতেও ছবির মান হবে ঝকঝকে। ২০২১ সালের শেষার্ধ্বে আরজিবিডব্লিউ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ফোন বাণিজ্যিকভাবে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে অপোর।

এছাড়া কনটিউনিয়াস অপটিক্যাল জুম কে সুপার স্মুথ জুম এ পরিণত করতে অপো নিয়ে এসেছে ৮৫-২০০ মিমি আর এর সাথে যুক্ত হওয়া  ফাইভ-এক্সিস অপ্টিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (ওআইএস) আগের চেয়ে স্পষ্ট স্ন্যাপশট নিশ্চিত করে।

প্রথমবারের মতো এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে  জি+পি (গ্লাস+প্লাস্টিক) লেন্স প্রযুক্তি। এর দুটি অতি-পাতলা ও সূক্ষ্ম গ্লাস অপটিক্যাল ইফেক্ট বৃদ্ধি করে। ফলে স্ট্রে লাইট কমে গিয়ে ছবির অরিজিনাল মান বজায় রাখে। যা ক্রপ ছাড়াই ক্লোজআপ বা পারসোনাল পোর্ট্রেট প্রতিটি শট’কে চমৎকার করে।

ইভেন্টে অপোর আরো একটি নতুন প্রযুক্তি দেখানো হয় যার নাম ফাইভ-অক্সিস ওআইএস প্রযুক্তি। এটি মূলত সিস্টেম প্রসেসরের জাইরোস্ক্রোপ থেকে মুভমেন্ট ডাটা নিয়ে সেই ডাটা আবার স্ব স্ব অ্যালগরিদম এর মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে ক্ষুদ্র অংশে ভেঙে ফেলে। যখন ডাটা মুভমেন্টের আকার বড় হয় তখন সেন্সর-শিফট ওআইএস ব্যবহার করা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি এভাবে চলতে থাকে। আর এসব কিছুই করা হয় ছবির মান বজায় রাখার জন্য। ২০২১ সালের প্রথমার্ধ্বে ক্যামেরার জন্য অপো ফাইভ অক্সিস ওআইএস প্রযুক্তি উন্মুক্ত করা হবে।

এবার আসা যাক, আন্ডার স্ক্রিন ক্যামেরার দিকে। অপোর ক্যামেরার এ প্রযুক্তি নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রযুক্তিপ্রেমীদের নজর কেড়েছে। এটি ক্যামেরা কোয়ালিটি ও স্ক্রিনের মধ্যে যুঁতসই ভারসাম্য নিয়ে আসে। এতদিন ওয়াটার ড্রপ নচ, পাঞ্চহোল, সিঙ্গেল পাঞ্চহোল ডিসপ্লে পর আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরা সলিউশন প্রদর্শনের মাধ্যমে আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরার যুগে অগ্রগামী হিসাবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করলো অপো। আর শুধু আন্ডার স্ক্রিন ক্যামেরা দিয়েই নয় বরং ৪০০ পিপিআর হাই কোয়ালিটি ডিসপ্লে দিয়ে ক্যামেরা ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে সুপার স্মুথ করার নিশ্চয়তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।

অপোর ইমেজিং ডিরেক্টর সাইমন লিউ উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটিতে বিভিন্ন দেশ থেকে আগ্রহীরা যোগ দেন।  

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের জন্য প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন করা হয়। সেখানে বাংলাদেশ থেকে কয়েকজন সাংবাদিক অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।