অনলাইন সংস্কৃতিতে আবারও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে পাকিস্তান। অশ্লীলতার অভিযোগে দেশটির ১৩ হাজার ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় সচিব নবাব লিয়াকত আলী খান ন্যাশানাল অ্যাসেম্বলির একটি নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদকে জানান, এটি একটি গুরুতর সমস্যা। এ মুহূর্তে বিষয়টি যথাসম্ভব মোকাবেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পুরো বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি মন্ত্রণালয় কমিটি এবং একটি উপমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া অশ্লীল ওয়েবসাইটের দ্রুত বিস্তার ঘটলেও বর্তমানে সরকারের পক্ষে সবগুলো সাইট বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই বলে জানানো হয়।
এরপরও সরকার অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সরকার এমন একটি প্রক্রিয়া উদ্ভাবনের চেষ্টা করছে যাতে এ বিতর্কিত সাইটগুলো বন্ধ করা যায়। চীন এবং ভারত এসব সমস্যা প্রতিরোধে অটোমেটেড ফিল্টার নামে একটি সিস্টেম ইনস্টল করে নিয়েছে। তবে এটি বেশ ব্যয়বহুল।
পাকিস্তানে এমন সিস্টেম বসানো হলেও কর্তৃপক্ষের পক্ষে সম্ভব নয় আপত্তিকর ওয়েবসাইটগুলো পুরোপুরি বন্ধ করা। কারণ বেশির ভাগ ওয়েবসাইটের মূল উৎস পাকিস্তানের বাইরে। তাই সরকার চাইলেও পদক্ষেপ নিতে পারছে না।
গত বছর আদালতে ইন্টারনেট অশ্লীলতা নিয়ে আদালতে একটি কেস ফাইল হলে সরকার অভিযুক্ত ওয়েবসাইটগুলো বন্ধ করা শুরু করে। এর মধ্যে ফেসবুক এবং ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় ওয়েবসাইটও ছিল।
কিন্তু পরে সুশীল সমাজের প্রতিবাদের মুখে তা প্রত্যাহার করা হয়। তবে ধর্মবিরোধী এবং অশ্লীল ওয়েবপৃষ্ঠাগুলোকে বন্ধ করার এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ১৭২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১২