ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫-জি গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলার আহ্বান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২১
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫-জি গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলার আহ্বান

ঢাকা: দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ‌্যালয়সহ সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহে ফাইভ-জি প্রযুক্তি নিয়ে উন্নয়ন ও গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালুর ফলে দেশে কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ‌্যসহ অন‌্য খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব‌্যক্ত করেন তিনি।

 

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) টেলিকমিউনিকেশন্স ও ফটোনিক্স বিষয়ক তিন দিনব‌্যাপী চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বুয়েটের ইইই বিভাগের সহযোগিতায় আইইই কমিউনিকেশন্স বাংলাদেশ চ‌্যাপ্টার আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব‌্যবহার না করে পশ্চাদপদতা অতিক্রম করা সম্ভব নয়। প্রযুক্তির চাকা সচল রাখতে প্রযুক্তি শিক্ষায় সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অপরিসীম। প্রযুক্তিতে টেলিকম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

টেলিকমিউনিকেশন্স ও ফটোনিক্স বিষয়ক আন্তর্জাতিক এই সম্মেলটি অত‌্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ব‌্যবহার না করে আমরা সামনে এগুতে পারব না। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি কত সহায়ক করোনা তার প্রমাণ। বিশ্ব করোনা মহামারি সংক্রমণের এক বছরের মধ‌্যে টিকা আবিস্কার তার বড় দৃষ্টান্ত।

দেশের তরুণ সমাজ অত‌্যন্ত মেধাবী ও সৃজনশীল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স‌্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পর আমাদের ছেলেরাই মহাকাশ বিজ্ঞানের ছাত্র না হয়েও নিরবচ্ছিন্নভাবে তা পরিচালনা করছে। তিনি আইওটি, এআই, রোবটিক্স, ব্লকচেইনসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি নিয়ে অধিকতর গবেষণা এবং এসব প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রযুক্তিতে অতীতে শতশত বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে বাংলাদেশ আজ প্রযুক্তি ডিভাইস উৎপাদন এবং রপ্তানিকারী দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।

২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রযুক্তি আমদানিকারক দেশ থেকে উৎপাদন ও রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এরই ধারবাহিকতায় বাংলাদেশ নেপাল ও নাইজেরিয়ায় কম্পিউটার ও ল‌্যাপটপ রপ্তানি করছে। আমরা আমেরিকায় মোবাইল রপ্তানি করছি। সৌদি আরবে আইওটি পণ‌্য রপ্তানি করা হয়েছে। দেশের শতকরা ৬৩ ভাগ মোবাইল ফোনের চাহিদা আমাদের মোবাইল কারখানা থেকে মেটানো হচ্ছে। আমরা সৌদি আরব ও ভারতে ইন্টারনেট ব‌্যান্ডউইথ রপ্তানি করছি। খুব শিগগিরই মালয়েশিয়া ও ভুটানে ব‌্যান্ডউইথ রপ্তানি করা হবে।

অনুষ্ঠানে আইইই আইসিটিপি জেনারেল চেয়ার, ডেনমার্কের আরহাস বিশ্ববিদ‌্যালয়ের অধ‌্যাপক রামজি প্রাসাদ, বুয়েট উপাচার্য অধ‌্যাপক সত‌্য প্রসাদ মজুমদার, ইইই বিভাগের প্রধান অধ‌্যাপক কামরুল হাসান, আইইই বাংলাদেশ চ‌্যাপ্টারের চেয়ারম‌্যান অধ‌্যাপক এম মশিউল হক এবং বুয়েটের আইআইসিটি অধ‌্যাপক এমডি সাইফুল ইসলাম বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২১
এমআইএইচ/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।