ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সুবর্ণজয়ন্তী ওয়েবসাইট-অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২২
সুবর্ণজয়ন্তী ওয়েবসাইট-অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

ঢাকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে সুবর্ণজয়ন্তী ওয়েবসাইট মন্ত্রিসভা কমিটির উদ্যোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ ওয়েবসাইট (https://bangladesh50.gov.bd/) উদ্বোধন করা হয়। এছাসুবর্ণজয়ন্তী অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) আইসিটি টাওয়ারে অবস্থিত বিসিসি অডিটোরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ওয়েবসাইট ও অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এই ওয়েবসাইট এবং এ ধরনের কুইজ প্রতিযোগিতায় শিশুসহ সব বয়সী মানুষের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করার পাশাপাশি মেধার বিকাশ ঘটাবে বলে মনে করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশ নিয়ে তার চিন্তা-চেতনা বর্তমান নিয়ে ছিল তা নয়, বঙ্গবন্ধু ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতেন, তার কন্যাও ১০০ বছরের ডেলটা প্ল্যান করেন। মানুষ পরিকল্পনা করে পাঁচ বছরের, বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা করেন ১০০ বছরের।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন দাবি করি, কিন্তু কোনো কিছুর সমাধান দেই না, বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে সবকিছুর সমাধান দিতেন। একইভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যাও কোনো সমস্যা বা দাবি থাকলে তার সমাধান বাতলে দেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভালো সব অর্জনকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। যাতে বিশ্ব দরবারে তা সমাদৃত হতে পারে। করোনার কারণে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার কথা ছিল, আমরা সেভাবে তুলে ধরতে পারিনি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, সুবর্ণজয়ন্তী অনলাইন কুইজের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আরও সহজভাবে ও  দ্রুত তুলে ধরতেই এই আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে আইসিটি বিভাগ থেকে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যেগুলো তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, গৌরব, ঐতিহ্য ও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ ও দর্শন সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জানবার সুযোগ দিতে এই আয়োজন।

তিনি বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ তারুণ্যদীপ্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা অর্জন করবে এই প্রজন্ম। এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার হিসেবে বাংলাদেশে তৈরি ১৫০টি বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য দেওয়া হবে। পুরস্কারগুলো ওয়ালটনের সৌজন্যে দেওয়া হবে।

কুইজে অংশগ্রহণ করতে ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১১.৫৯ মিনিট পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে। প্রতিযোগিতায় ‘ক’ গ্রুপ ১ মার্চ; ‘খ’ গ্রুপ ২ মার্চ, ‘গ’ গ্রুপ ৩ মার্চ অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং প্রতিযোগিতার সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। কুইজ প্রতিযোগিতা সবার জন্য উন্মুক্ত এবং প্রতিযোগিতায় গ্রুপভিত্তিক বসয়সীমা ‘ক’ গ্রুপ: (৮-১২ বছর), ‘খ’ গ্রুপ: (১৩-১৮ বছর), ‘গ’ গ্রুপ: (১৯-তদুর্ধ বছর)। ভুল/মিথ্যা তথ্য দিয়ে অংশগ্রহণ করলে প্রতিযোগিতা থেকে বাতিল বলে গণ্য হবে। ওয়েবসাইটে নিবন্ধন (https://bangladesh50.gov.bd/) করতে হবে।

একজন প্রতিযোগী একবারই অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রত্যেকের জন্য বরাদ্দকৃত সময় ২৬ মিনিট। সব প্রশ্নের মান সমান (১ পয়েন্ট)। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য এক চতুর্থাংশ (০.২৫) পয়েন্ট কাটা যাবে। সব প্রশ্নের উত্তরের জন্য চারটি বিকল্প থেকে একটি সঠিক উত্তর বাছাই করতে হবে (এমসিকিউ)। কম সময়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক উত্তরদাতা থেকে বিজয়ী নির্বাচন করা হবে। চূড়ান্ত বিজয়ীদের ক্ষেত্রে বয়স যাচাই সাপেক্ষে পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রতিযোগিতা বাস্তবায়নের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও পরিবারবর্গ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. আব্দুল মান্নান।

২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে উদযাপনের জন্য মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করে। কমিটিতে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে সাচিবিক এবং মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারুণ্যদীপ্ত বাংলাদেশ সব চ্যালেঞ্জ উত্তরণ ঘটিয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, শোষণ ও বৈষম্যহীন, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করবার প্রত্যয়ে স্বাধীনতার ৫০তম বছর উদযাপন উপলক্ষে ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে। সুবর্ণজয়ন্তী অনলাইন কুইজের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কে আরও সহজভাবে ও দ্রুত তুলে ধরতেই এই আয়োজনটি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২২
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।