ঢাকা: জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রদত্ত সেবাগুলোকে জনগণের দোরগোড়ায় সহজতম উপায়ে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের সকল জেলায় চালু করা হয়েছে জেলা ই-সেবাকেন্দ্র।
জেলা সদরের বাইরে উপজেলা ই-সেবা কাউন্টার এবং ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র থেকেও জনগণ যে কোনো সেবার জন্যে আবেদন করতে পারেন।
প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ১৪ নভেম্বর সারাদেশের ৬৪টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ‘জেলা ই-সেবাকেন্দ্র’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত বেসিস সফট এক্সপো ২০১২’তে এসব সেবাকে মানুষের আরো কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার জন্যে মেলায় অংশ নিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাপোর্ট টু ডিজিটাল বাংলাদেশ (এটুআই) প্রোগ্রাম।
মেলায় শিক্ষার্থীদের জন্যে ব্যবহৃত ডিজিটাল কন্টেন্ট উপস্থাপন করেন রাজধানীর খিলগাঁও গভ. কলোনি হাইস্কুলের শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবিষয় আরো সহজবোধ্য করে তোলার জন্যে এ ডিজিটাল কন্টেন্ট সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে বর্তমানে সরকার ৫০০টি বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ এবং মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টও দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ১৫০০ জন শিক্ষককে এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এ প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানান তিনি।
জেলা ই-সেবাকেন্দ্রের উপকারিতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে জহিরুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু ব্যবহারের ফলে ভূমি নিয়ে জনগণের ভোগান্তির অবসান হবে। এখন দুই দিনে পাওয়া যাবে জমির নকল।
এছাড়াও সচিবালয় থেকে মাঠ প্রশাসনে কাজের তদারকি আমূল বদলে দিয়েছে জেলা ই-সেবাকেন্দ্রের সঙ্গে থাকা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন (ড্যাশবোর্ড)।
এ ছাড়াও জেলা ই-সেবাকেন্দ্রের ফলে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রে প্রযুক্তির সেবায় আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সেবাকেন্দ্রের ফলে মানুষের তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করা যেমন সম্ভব হয়েছে, তেমনি সরকারি কর্মকর্তাদের মানসিকতার পরিবর্তনও লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে এক বিশেষ ক্রোড়পত্রে উল্লেখ করেছেন এটুআই প্রোগ্রামের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম খান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১২