ঢাকা: বাংলালিংক আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিটাল সার্ভিসের মার্কেটপ্লেস ‘অ্যাপলিংক’ চালু করেছে। বাংলালিংক গ্রাহকদের সঙ্গে স্থানীয় ডেভেলপারদের সংযুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গ্রাহকদেরকে সহজে ডিজিটাল সার্ভিস কেনার সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি এটি ডেভেলপারদের জন্য আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক রোববার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে অ্যাপলিংকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সামি আহমেদ, বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার উপাঙ্গ দত্ত, চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান এবং প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
স্থানীয় ডেভেলপাররা https://dev.applink.com.bd ভিজিট করে নিবন্ধন সম্পূর্ণ করার পর অ্যাপলিংকের প্ল্যাটফর্মে এসএমএস, ইউএসএসডি ও বিলিং সংযোগের মতো প্রয়োজনীয় সব টুলস্ এবং এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) পাবেন।
এই প্ল্যাটফর্মে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খেলাধুলা, কৃষি, জনসেবা, বিনোদন এবং ব্যবসার মতো বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সার্ভিস পাবলিশ ও আয় করা যাবে।
বাংলালিংক গ্রাহকরা https://applink.com.bd ভিজিট করে মোবাইল এয়ারটাইম ব্যালেন্স দিয়ে তাদের পছন্দের ডিজিটাল সার্ভিসগুলি কিনে ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, তরুণদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক ডিজিটাল উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলালিংকের বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। এবার বাংলালিংক এমন একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এসেছে, যা তরুণ ডেভেলপারদেরকে দেশের ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাপ তৈরিতে উৎসাহ দেবে। তরুণ পেশাজীবীদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে কীভাবে বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলি আমাদের আইটি খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে, তা এই উদ্যোগে প্রতিফলিত হয়।
ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলেন, আমি বাংলালিংকের এই প্রশংসনীয় উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। ‘অ্যাপলিংক’ আমাদের তরুণ আইটি পেশাজীবীদের ক্ষমতায়ন করবে এবং তাদের কাজকে স্থানীয় বাজারে তুলে ধরার সুযোগ দেবে। আশা করি, বাংলালিংক ভবিষ্যতে এই ধরনের আরও উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
বাংলালিংকের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার উপাঙ্গ দত্ত বলেন, আমরা দুইটি উদ্দেশ্য নিয়ে অ্যাপলিংক চালু করেছি। প্রথমত, এই নতুন ডিজিটাল ইকোসিস্টেমটি একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে স্থানীয় ডেভেলপারদের ক্ষমতায়ন করবে। তারা উপার্জনের পাশাপাশি তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করার সুযোগ পাবে। দ্বিতীয়ত, এর মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকরা সহজেই তাদের পছন্দের সেবা ও অ্যাপ কিনতে পারবে। আমরা এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের ডিজিটাল সেবার সংখ্যাকে আরও বৃদ্ধি করতে পেরে আনন্দিত। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যম দেশের তরুণ ডেভেলপারদের সহায়তা করার আশা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২২
এমআইএইচ/এএটি